রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রোববার দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। অসুস্থ ওই তরুণীকে আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওই তরুণীর স্বামী জানান, তিনি একজন নির্মাণ শ্রমিক। স্ত্রীকে (১৯) নিয়ে ১০-১২ দিন আগে ঢাকায় এসে মোহাম্মদপুরের এক ভাড়া বাসায় উঠেন।

গতকাল দুপুরে কাজের জন্য ওই নির্মাণ শ্রমিক বাসার বাইরে ছিলেন। বাসায় একা ছিলেন তাঁর দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ সময় মেহেদী (২২) নামের তাঁদের এক প্রতিবেশী যুবক দরজায় কড়া নাড়ে। পরে ওই নারী দরজা খুলে দিলে সে সঙ্গে সঙ্গে রুমের ভেতরে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। বাধা দিলে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মেহেদীর হাটুর আঘাত লাগে ওই তরুণীর পেটে। এতে প্রচুর রক্তপাত শুরু হতে থাকে।

দুপুরের খাবার খেতে গিয়ে ঘরে হৈচৈয়ের শব্দ পেয়ে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে ওই তরুণীর স্বামী এ দৃশ্য দেখতে পান। পরে মেহেদীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে যান তিনি।

হাসপাতাল থেকে পরে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন তাঁরা। এলাকার প্রভাব থাকায় পরে রুম থেকে বের হয়ে মেহেদীও থানায় যায় উল্টা অভিযোগ করতে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন মীর জানান, ভুক্তভোগী তরুণির স্বামী বাদী হয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত যুবক মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।