কারাগারে যাওয়ার সময় হাবিব বললেন, আমি অন্যায় করিনি
হত্যা ও চাঁদাবাজির চারটি মামলায় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব জামিন নিতে আজ রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
এ সময় আদালত চাঁদাবাজির একটি মামলায় জামিন দিলেও অপর তিনটি মামলায় জামিন আবেদন নাকচ করে হাবিবকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জেলহাজতে পাঠানোর সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিব বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি, আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।’
জানা যায়, ২০০৪ সালের ৪ মে তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলতাফ হোসেনকে বোমা মেরে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ সংক্রান্ত দুটি ও চাঁদাবাজির অপর দুটি মামলার আসামি ছিলেন হাবিব।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয় আদালত) অরুণাভ চক্রবর্তীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন হাবিব।
হাবিবের জামিনের পক্ষে আইনগত যুক্তি তুলে ধরেন অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ। রাষ্ট্রপক্ষে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওসমান গনি।
উভয়পক্ষের বক্তব্য শেষে আদালত চাঁদাবাজির একটি মামলায় হাবিবের জামিন মঞ্জুর করলেও আলতাফ হত্যাসহ তিনটি মামলায় জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।