নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া অবৈধ সংসদ বহাল রেখে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। কারণ এ সংসদ বহাল রেখে আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারি মার্কা ভোট করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু এ দেশের জনগণ আর সেটি দেখতে চায় না। তাই ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে রেজাউল করীম এসব কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, ‘দেশে সাধারণ মানুষের কোনো অধিকার নেই। স্বাধীনতা ও অধিকার ভোগ করছে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা। স্বাধীনতার পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারাই জনগণের অধিকার হরণ করেছে। গুম খুন করে দেশকে একটি ভয়ানক নৈরাজ্যে পরিনত করেছে। এসবের পরিবর্তন দরকার।’
চরমোনাই পীর আরো বলেন, ‘শুধু একটু ভালো নির্বাচন হলেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে না। তাই মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হলে ভালো নেতা নির্বাচন করতে হবে। এ না হলে জনগণের মুক্তি মিলবে না। যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারাই সংবিধানকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। কিন্তু দেশের মানুষের স্বার্থে কোনো কিছু করেনি।’
রেজাউল করীম বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কোনো স্থানীয় নির্বাচনকে তারা সুষ্ঠু হতে দেয় নি। তাই এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। কারণ সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হলে তা কখনো সুষ্ঠু হবে না। তাই এ সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হতে হবে সবার অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রধান আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে ইসলামের জাগরণ তৈরি হয়েছে। এখন আর বাংলাদেশে ইসলামকে থামিয়ে রাখা যাবে না। ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা হলে কখনো নারীদের ঘরে বন্দী রাখা হবে না। অন্যধর্মের লোকদের সমান সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। নারীদের অধিাকর নিশ্চিত করা হবে। তাদের অধিকার আরো বাড়বে৷ তবে কেউ অন্যায় দুর্নীতি করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাই ইসলাম নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই।’
রেজাউল করীম আরো বলেন, ‘দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ইসলামী আন্দোলন ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। দেশের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে মানুষের মৌলিক অধিকর সুসংহত করবো, প্রতিবেশী ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক তৈরি করা হবে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়া হবে, স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
মহাসমাবেশে ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করা, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা, ভোটের আগে সেনা মোতায়েন, ভোটের দিন সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদান, ইভিএম বাতিল, রাজনৈতিক কর্মীদের হয়রানি বাতিল, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।