ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল, দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে শর্ত পালন না করতে পারায় কাজী ফারুক আহম্মদের নেতৃত্বাধীন ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্রুতই নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসির উপসচিব আবদুল হালিম খান এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন জারির জন্য ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ওই পত্রে সিগনেচারও করেছেন।’
আবদুল হালিম খান বলেন, ‘গত জুন মাসে তাদের নিবন্ধন বাতিলের জন্য সুপারিশ করে ইসি। তারপরে তারা সময় চায়। তাদের সময় চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন তাদেরকে ১৫ দিনের সময় দিয়েছিল। এরপর তাদেরকে শুনানির জন্য কমিশনে ডাকা হয়। শুনানির পরে আবার রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় দলিল জমা দিতে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনকে ১৫ দিন সুযোগ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।’
ইসির উপসচিব আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা প্রতিটি দলের অন্তত ১০০টি উপজেলায় নিজস্ব কার্যালয় থাকতে হবে। জেলা কার্যালয় ২২টিসহ কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকতে হবে। এসব তথ্য আমরা তাদের কাছে চেয়ে বারবার চিঠি দিলেও তারা দিতে ব্যর্থ হয়। মোট কথা হলো, একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের যে যে গুণাবলী থাকা দরকার তাদের তা নেই।’
উপসচিব আরো বলেন, ‘আজ তাদের নিবন্ধন বাতিলের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। দ্রুতই তাদের নিবন্ধন বাতিলের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। গেজেট জারির অনুমোদনও দিয়েছে। ইসি সচিব ওই গেজেটে সিগেনারও করেছে।’
এর আগে চলতি বছরের গত ১২ জুন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন নামের একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আজ কমিশন সভায়। অন্য সব রাজনৈতিক দলের মতো তাদের কাছে আমরা কিছু প্রতিবেদন চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা দেয়নি। এর পরে ১৫ দিন সময় দিয়ে আমরা আবারও চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা তখনো দেননি এবং শর্ত পূরণ করেনি। তাই তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। অথচ অন্য সব রাজনৈতিক দলই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।’
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ৮ অক্টোবর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকার তৎকালীন চেয়ারম্যান কাজী ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ২০০৯ সালের ২৪ মে কাজী ফারুককে প্রশিকার চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ। এরপর দলটির কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ে।