বিএনপির জনসভা আজ
রাত পোহালে দীর্ঘ বিরতির পর উন্মুক্ত স্থানে জনসভা করবে বিএনপি। এজন্য প্রায় সব প্রস্তুতি শেষ করেছে দলটি। এখন চলছে জনসভাস্থলে মঞ্চ তৈরির কাজ।
এর আগে শনিবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ জ্যেষ্ঠ নেতারা। তখন তিনি আজ রোববারের জনসভা নিয়ে কথা বলেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকার বিএনপির ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসমাবেশ ঘিরে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটানোর দুরভিসন্ধিমূলক আগাম ইঙ্গিত দিচ্ছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে গত কয়েক দিন ধরে অনেক কথা বলা হচ্ছে। তারা বলেছেন, রাজপথে বিএনপিকে মোকাবিলা করা হবে। বিএনপি সমাবেশে সহিংসতা করবে। এই যে আগাম কথা বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে, এখানেই আমাদের সংশয়। এখানেই সরকারের দুরভিসন্ধি।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ রোববার। এজন্য আনা হয়েছে চেয়ার। শনিবার রাতে তোলা। ছবি : এনটিভি
শনিবার রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা যায়, জোরেশোরে চলছে জনসভার মঞ্চ তৈরির কাজ। মঞ্চ তৈরির জন্য ডেকোরেশনের টেবিল ও সামিয়ানা আনা হয়েছে। চারপাশে বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সভার মঞ্চ তৈরির কাজ। মঞ্চে জ্যেষ্ঠ নেতাদের বসার জন্য রাখা হয়েছে চেয়ার।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ তৈরির সঙ্গে জড়িত সোহেল নামের একজন বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যা থেকে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করি। এর মাঝে বিএনপির নেতারা অনেকে এসেছেন।’
সোহেল বলেন, মঞ্চ তেরির জন্য ডেকোরেশনের টেবিল আনা হয়েছে। এসব টেবিল সারিবদ্ধভাবে রেখে তার ওপর তৈরি করা হবে জনসভার মঞ্চ, যেখানে নেতারা বসবেন।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ রোববার। এজন্য আনা হয়েছে মাইক। শনিবার রাতে তোলা। ছবি : এনটিভি
কয়েক দফা পেছানোর পর শবিবার
বিএনপি রোববার জনসভা করার অনুমতি পায়। এজন্য শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বিএনপিকে ২২ শর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি দেন। এরপরই মাঠ দেখতে যান বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা।
অনুমতি পাওয়ার পর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আগামী কালের জনসভায় অংশ নেওয়ার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।