শিমুলিয়ায় নাব্যতা নেই, পাটুরিয়ায় প্রবল স্রোত
একদিকে নাব্যতা সংকটের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে পদ্মার প্রবল স্রোতের কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরি ভিড়তে দেরি হচ্ছে। এর ফলে, যানবাহনের চাপে শিমুলিয়া-পাটুরিয়া পথে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।
আজ শনিবার সকালে কথা হয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা ঘাটের পরিচালক তানভির আহমেদের সঙ্গে। তিনি জানান, দৌলতদিয়ায় চারটি ঘাটের মধ্যে একটিতে বড় ফেরিগুলো ভিড়তে পারে। অপর তিনটি ঘাটে প্রবল স্রোতের কারণে ফেরিগুলো স্বাভাবিকভাবে ভিড়তে পারছে না।
এতে যানবাহন ওঠানামায় সময় বেশি লাগছে। ফলে ফেরি কম চলাচল করায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে আটকে পড়েছে দূরপাল্লার বাস, কোচ ও পণ্যবোঝাই ট্রাকসহ চার শতাধিক যানবাহন। তাই, নদী পার হতে প্রতিটি যানবাহনকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা।
এ ছাড়া শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথের অতিরিক্ত যানবাহনের চাপও পড়েছে পাটুরিয়া ঘাটে।
এদিকে, নাব্যতা সংকটের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় কয়েকদিন ধরেই এই নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আজ সকাল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাঁচ শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় আছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারি জানান, কয়েকদিন ধরেই নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সকাল থেকেই সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় পাঁচ শতাধিক গাড়ি অপেক্ষায় আছে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসির এই কর্মকর্তা বলেন, ফেরি চলাচলের জন্য চায়না চ্যানেলে পর্যাপ্ত গভীরতা নেই, যার কারণে ফেরি চলতে পারছে না।
আমানত শাহ, শাহজালাল ও কেরামত আলী নামে বড় তিনটি ফেরি নষ্ট থাকায় সেগুলো ডকইয়ার্ডে মেরামত করা হচ্ছে। বর্তমানে এই নৌপথে ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।