সংকট তো তারাই সৃষ্টি করেছে : ড. কামাল
বাঁকাপথে কিছু করা নয়, বরং রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা থেকেই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে-এমন দাবি করেছেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।
বুধবার রাজধানীর ইনঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বক্তারা দাবি করেন, কামাল হোসেনের ঐক্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই কেবল সম্ভব দেশে নির্বাচনের আগে পরে কোনো রকম রক্তপাত না হওয়া।
বয়সজনিত নানা জটিলতার মধ্যেও ড. কামাল হোসেন যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছেন তাঁর আলোচিত সমালোচিত ঐক্যপ্রক্রিয়া নিয়ে। ভোটাধিকারের প্রতিষ্ঠা ও রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের কথা বলে ড. কামাল হোসেন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার যে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন, তাতে ইতিমধ্যে বিএনপি যুক্ত হওয়ার পথে রয়েছে। অন্যদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সংশয়- ড. কামাল হোসেনের এমন ঐক্যের পেছনের দেশে কোনো সংকট তৈরি করার উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সংকট তো তারাই সৃষ্টি করেছে। সংকটমুক্ত করার পথ হলো উনাদের হাত থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। উনাদের হাত থেকে আমরা মুক্ত হলেই সংকটমুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। এটার মানে এই না যে আমি অন্য পথে। জনগণকে নিয়ে, জনগণকে সংঘবদ্ধ করে তার মধ্য দিয়ে আমাদের অর্জন করতে হবে।
ঐক্য প্রক্রিয়ার ওই অনুষ্ঠানে ড. কামাল হোসেনসহ অন্যান্যরা স্পষ্ট করলেন অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠ নির্বাচন তাদের উদ্দেশ্য, তবে এটিই একমাত্র উদ্দেশ্য নয়।
জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব অনুষ্ঠানে বলেন, স্বৈরাচারের পরিবর্তে স্বৈরাচার নয়। এমন আন্দোলন করতে হবে যাতে জনগণ ক্ষমতার মালিক হতে পারে, গুণগত পরিবর্তন আসে।
ড. কামাল বলেন, এই যে পায়ের ধুলো নেওয়ার একটা কালচার, এটা স্বাধীন বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল না। আপা আপা পায়ের ধুলো। আপাদের পায়ের ধুলো নেওয়া চলবে না।
কামাল হোসেনের ঐক্যপ্রকিয়ার সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্টরা বললেন, তারা চাচ্ছেন নির্বাচনের আগে পরে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা যেখানে কোনো ধরনের রক্তপাত না হয়।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, আমরা একটা শান্তির সুষ্ঠু রাজনীতির দরজা খুলে দিতে চাই। আমরা এখানে মাশল পাওয়ার দেখাতে আসি নাই। মারামারি, কাটাকাটি কইরো না। পিসফুল ইলেকশনের মাধ্যমে তোমরা শান্তিপূর্ণভাবে, কারো পালাইতে হবে না। কারো লক্ষ লক্ষ লোক মারা যাইতে হবে না। সেনসিবল হও। আমরা একটা সেনসিবল পাথ দিচ্ছি ড. কামালের আন্ডারে যে দিজ ইজ দ্য সেনসিবল ওয়ে।
নির্বাচনের আগে পরে বড় ধরনের কোনো সহিংসতা হয় কিনা এনিয়ে দেশের মানুষ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকতে চায় না বলে মত দেন ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্টরা।