মুখ থুবড়ে পড়ল ইউএস-বাংলা
বেসরকারি ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে। এতে উড়োজাহাজের সামনের চাকা (নোজ হুইল) না খোলার কারণে প্রবল ধোঁয়া উদগিরণ করে রানওয়েতে মুখ থুবড়ে পড়ে।
আজ বুধবার দুপুরে নির্ধারিত সময়ের পর আরো প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে উড্ডয়ন শেষে উড়োজাহাজটি রানওয়েতে নেমে আসে। উড়োজাহাজে ১৬৪ জন যাত্রী ছিলেন। আর পাইলট ও ক্রু ছিলেন সাতজন। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনার পর ফের আলোচনায় এলো ইউএস-বাংলা।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সহকারী ব্যবস্থাপক হাসান জহির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিমানটি বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাচ্ছিল। সেখানে অবতরণের সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নোজ হুইল খুলছিল না। চালক বেশ কয়েকবার ট্রাই করেন। কিন্তু সেখানে নামতে ব্যর্থ হন। এ সময় তিনি কয়েকবার আকাশে চক্কর দেন। শেষে দেড় ঘণ্টা পর দুপুর ১টা ২০ মিনিটে উড়োজাহাজটি রানওয়েতে নেমে আসে।’
ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন মোহাম্মদ ফারুক। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘কক্সবাজার পৌঁছার পর উড়োজাহাজটি কমপক্ষে চার থেকে পাঁচবার নামার পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু কোনোবারই নামতে পারেনি। এ সময় ভেতরের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিমানটি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নামে।’
আরেক যাত্রী রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘দেড় ঘণ্টার মতো বিমানটি আকাশে বেশি ছিল। উড়োজাহাজে জরুরি অবতরণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকেই আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। এ ধরনের ঘটনা ইউএস-বাংলার উড়োহাজাজে আরো ঘটেছে। এটা তাদের চরম দায়িত্বহীনতা। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা আজ বেঁচে এসেছি।’
গত ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ। ওই দুর্ঘটনায় ২৭ বাংলাদেশিসহ ৫২ জন নিহত হয়েছেন। উড়োজাহাজে ৭১ আরোহী ছিলেন।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা জানতে নেপাল ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের দাবি, কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে ভুল নির্দেশনা দেওয়ার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এ দাবি অস্বীকার করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।