শহিদুল আলমের ডিভিশন নিয়ে আপিল শুনানি ১ অক্টোবর
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় কারাগারে থাকা আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে ডিভিশন দিতে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের শুনানি ১ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। ওই দিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
আজ মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী এ আদেশ দেন। আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শরিফ আহমেদ ভূঁইয়া ও তানিম হোসাইন শাওন।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ড. শহিদুল আলমকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ার আদেশ স্থগিত না করে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়।
গত ৫ সেপ্টেম্বর তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় কারাগারে থাকা আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে ডিভিশন দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। শহিদুল আলমের স্ত্রী রেহেনুমা আহমেদের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। স্বরাষ্ট্র সচিব ও কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি এ আদেশ দেওয়া হয়। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
ওই দিন ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ‘আদালত আদেশ দিয়েছেন, ড. শহিদুল আলমকে যেন জেলখানায় ডিভিশন দেওয়া হয়। সামাজিক অবস্থান এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে ডিভিশন দিতে হয়। শহিদুল আলমের পক্ষে ২৭ আগস্ট বিচারিক আদালতে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করি। ওনাকে যেন প্রথম শ্রেণিতে রাখা হয়। আদালত আদেশও দিয়েছেন যেন কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু এর মধ্যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর মধ্যে ওনার জামিনও হয়নি। তাই হাইকোর্টে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছেন, ওনাকে যেন প্রথম শ্রেণির ডিভিশন দেওয়া হয়।’
গত ৫ আগস্ট রাতে রাজধানীর ধানমণ্ডির বাসা থেকে শহিদুলকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ফেসবুক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।