ধর্ষণের শিকার হয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা!
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা এলাকার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী (১২) ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেছে। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় মামলার একমাত্র আসামি জহিরুল ইসলামকে (৩৫) তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
ছাত্রীর স্বজনদের বরাত দিয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মফিজ মল্লিক জানান, ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সে মা-বাবার সঙ্গে জহিরুল ইসলামদের জমিতেই ঘর তুলে বসবাস করে আসছিল। গত সাত মাস ধরে বিভিন্ন সময় বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে জহিরুল ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত্যুর ভয়ে ভীত হয়ে কিশোরী এ ঘটনা চেপে যায়। পরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে দুদিন আগে পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
কিশোরীর মায়ের ভাষ্যমতে, শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হয়ে অন্তঃসত্ত্বার বিভিন্ন উপসর্গ প্রকাশ পেলে মেয়েকে স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা করানো হয় এবং তার অন্তঃসত্ত্বার ঘটনাটি ধরা পড়ে। পরে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সব খুলে বলে। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জহিরুলের পরিবার তাঁদের হুমকি দেয় এবং বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার চাপ দেয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রোববার রাতেই থানায় মামলা করেছেন। ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের মায়ের দাবি, কিশোরী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার হওয়া জহির ওই শিশুকে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেছে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) প্রণয় ভূষণ দাস জানান, কিশোরীটি ২৮ সপ্তাহ অর্থাৎ প্রায় সাত মাসের গর্ভবতী।