বিদ্যালয়ের নির্বাচন নিয়ে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ
ফরিদপুরে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় সালথা উপজেলার কাগদি বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানঘর ভাঙচুর করা হয়। লুটপাট করা হয় বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সালথার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাগদি উচ্চ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন আগামী ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দীনের প্যানেলে পাঁচজন প্রার্থী ও মাঝারদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আফছার উদ্দীনের প্যানেলে পাঁচজন সদস্য প্রার্থী হয়েছেন।
আজ বেলা ১১টার দিকে গিয়াস উদ্দীনের প্যানেলের প্রার্থীরা ইউনিয়নের স্বজনকান্দা গ্রামে ভোট চাইতে যান। এ সময় আফছার উদ্দীনের সমর্থকরা তাঁদের ভোট চাওয়ায় বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
সালথা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হেলালউদ্দীন ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করেন। এরপর কাগদি বাজারে গিয়াস উদ্দীনের সমর্থকদের বেশ কয়েকটি দোকানঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, তাঁদের দোকানগুলো থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষরা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুরাটিয়া, হরেরকান্দী, কাগদি, স্বজনকান্দা ও নওপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থকরা সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়।
খবর পেয়ে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সালথা-নগরকান্দা) সার্কেল এফ.এম. মহিউদ্দীনসহ সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শটগানের সাতটি রাবার বুলেট ছুঁড়ে উভয়পক্ষের সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ বিষয়ে মাঝারদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফছার উদ্দীন বলেন, ‘ভোট চাওয়া নিয়ে যেটা ঘটেছিল, ঘটনাস্থলে হেলাল দারোগা গিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছেন। কিন্তু গিয়াসের সমর্থক রনি আমার লোক বিপ্লবকে রাম দা দিয়ে ধাওয়া দেওয়ায় ফের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দোকান ঘরে কে বা কারা হামলা করেছে তা আমি জানি না।’
এদিকে, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দীন বলেন, ‘আমার লোকজন ভোট চাইতে গেলে আফছারের সমর্থকরা বাধা দেয়। এ সময় হেলাল দারোগা ঝামেলা মীমাংসা করে দেন। ভোট চাওয়ায় বাধা দিয়েও তাঁরা ক্ষ্যান্ত হয়নি। পরে আফছারের লোকজন কাগদি বাজারে এসে আমার পক্ষের কয়েকটি দোকানঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।’
সালথা থানার এএসআই হেলালউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করার জন্য স্বজনকান্দা গ্রামের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় লোকজনের উত্তেজনা দেখে এগিয়ে যাই। উভয়দলের লোকজনের কথা শুনে তখনই মীমাংসা করে দেই।’
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘হট্টগোলের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শটগানের সাতটি রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি।’