পুলিশের লাঠিপেটায় কর্মসূচি পণ্ড, সাকি ও প্রিন্স আহত
পুলিশের লাঠিপেটায় পণ্ড হয়ে গেছে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন জোটের অন্যতম নেতা এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে’ নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘেরাও কর্মসূচির আয়োজন করে জোটের নেতা-কর্মীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশের পর জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে জোটের মিছিল মৎস্য ভবন, শাহবাগ ও বাংলামোটর হয়ে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় ইসি কার্যালয়ের দিকে যেতে থাকে।
মিছিলটি কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ার সামনে এলে পুলিশ তাদের ব্যারিকেড দিয়ে বাঁধা দেয়।
বাম জোটের নেতা-কর্মীরা এ সময় বাধা উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় কয়েকজন আহত হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম দল গণসংহতি আন্দোলনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিছিলটি শাহবাগ থেকে কারওয়ান বাজারে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বাধার সৃষ্টি করে। নেতাকর্মীরা বাধা উপেক্ষা করে এগোতে চাইলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ তাঁকে পেটাতে পেটাতে রাস্তায় ফেলে দেয় এবং এরপরও তাদের পেটানো অব্যাহত থাকে। এতে তাঁর ডান হাতের হাড়ে চিড় ধরেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার পর তাঁকে নিজ বাসভবনে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু। এ ছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, বাচ্চু ভুইয়া, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় নেতা সাদিক রেজা, ইমরান হোসেন, জাশেম আলম, মো. ইরফান, রাবেয়া রিমি, দোলন দাসসহ জোটভুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আটদলের ওই জোটে আছে, সিপিবি, বাসদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন।