পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে সেনা মোতায়েন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কবিতা খানম। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে এনটিভি অনলাইনকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
কবিতা খানম বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিস্থিতি যদি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং পরিস্থিতি যদি ডিমান্ড করে তাহলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করার বা সহযোগিতা চাওয়ার সুযোগ তো কমিশনের আছে।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী ব্যবহার করতে হলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংযুক্ত করার দরকার নেই। আর সেনা মোতায়নের বিষয়টি কিন্তু এখুনি ভাবার সুযোগ নেই। আমরা আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে যদি সেনাবাহিনী ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় তখনই কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।’
কবিতা খানম আরো বলেন, ‘আমাদের কাছে যদি নির্বাচনী পরিস্থিতি খারাপ মনে হয় তাহলে কিন্তু আমরা সরকার কিংবা রাষ্ট্রপতির কাছে সেনা মোতায়েনের জন্য আবেদন করতে পারব।’
এই সরকারের আমলে বিএনপি প্রতিটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু তাদের দাবি কখনোই পূরণ করেনি নির্বাচন কমিশন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সেনাবাহিনী মোতায়েনে বিএনপির জোরালো দাবি রয়েছে।
এদিকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাঁচ দফা দাবি ও নয়টি লক্ষ্যে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। তার ভেতরে পাঁচ দফা দাবির চতুর্থ দফায় তারা বলেছে ‘নির্বাচনের এক মাস আগে থেকে নির্বাচনের পর ১০ দিন পর্যন্ত মোট ৪০ দিন প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেসী ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত ও নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত করতে হবে।’