২৫ বছর পর হত্যা মামলার রায়, ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
কেরানীগঞ্জে বাবা-ছেলে হত্যা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ওরফে নজু, মিস্টার ওরফে ছোট মিস্টার, মো. আরিফ ও মো. মাসুদ। আসামিদের মধ্যে প্রথম তিনজন কারাগারে আছেন। অপর দুই আসামি পলাতক।
বিচারক মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। এ ছাড়া নিহতের আরেক ছেলে শাহজাহানকে জখম করার অভিযোগে ওই পাঁচ আসামিকে আরো পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন এবং তা দিতে ব্যর্থ হলে আরো এক বছর করে কারাভোগের নির্দেশ দিয়েছেন।
এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাই কেরানীগঞ্জের বরিশুর বাজারের পশ্চিম পাশে মালোপাড়া সংলগ্ন নিজ দোকানে ব্যবসায়ী শরীফের দুই শিশুপুত্র খোকন (৯) ও শাহজাহান (১২) বাবার জন্য রাতের খাবার নিয়ে আসে।
বাবার কাছে রাতের পড়া শেষে শিশুরা দোকানের পেছনের রুমে ঘুমিয়ে যায়। রাত আনুমানিক ৩টা-৪টার সময় আসামিরা দোকানে এসে সিগারেট ও কিছু মালামাল বাকি চায়। শরীফ বাকিতে মাল বিক্রি করবে না বলে জানালে আসামিরা তাদের হাতে থাকা দা, চাপাতি দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করে।
শরীফের চিৎকারে তাঁর ছেলেরা এগিয়ে এসে বাবাকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করে। আসামিরা তাদেরও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এতে ঘটনাস্থলেই শরীফ ও তাঁর ছোট ছেলে খোকন মারা যায়।
ওই ঘটনায় শরীফের ছেলে আব্দুর রহিম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল কবির ১৯৯৪ সালে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ ২৫ বছর হত্যা মামলাটির রায় ঘোষণা করা হলো।Top of Form