স্মার্টফোন না পেয়ে কিশোরীর আত্মহত্যার চেষ্টা
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে স্মার্টফোন না পেয়ে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে ১৭ বছরের এক কিশোরী নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আজ রোববার রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
পরে পরিবারের লোকজন দগ্ধ কিশোরী মিম আক্তারকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নিয়ে যায়। মিমের শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
দগ্ধ মিম মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া গ্রামের মৃত আওলাদ হোসেনের ছোট সন্তান। কামরাঙ্গীরচরের আলীনগর খালপাড় এলাকায় দুই ভাই ও মা শিরিনা আক্তারের সঙ্গে থাকত মিম। সে বাসায় সাংসারিক কাজ করত।
শিরিনা আক্তার জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁর মেয়ে মিম একটি স্মার্টফোন দাবি করে আসছিল। সাংসারিক অভাবের কারণে সেটি সময় মতো দিতে না পারায় অভিমান করে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধ মিম বলে, ‘স্মার্টফোন কিনে না দেওয়ায় আমি রাগের মাথায় নিজের গায়ে আগুন দিয়েছি। তবে এটা ঠিক হয়নি।’
মিম আরো বলে, ‘মায়ের কাছে একটি স্মার্টফোন ছিল। সেটি আমি মাঝেমধ্যে ব্যবহার করতাম। সেটিও আমার বড় ভাই আলামিনকে দিয়ে দিছে। এই কারণে আমি রাগ ধরে রাখতে পারিনি।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মিম বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছে।