‘নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের শিক্ষা দিতে হবে’

Looks like you've blocked notifications!

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করতে নতুন প্রজন্মকে যুগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিশ্বমানের শিক্ষা দিতে হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য দারিদ্র্যের অবসান ঘটিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে লক্ষ্য অর্জনে নতুন প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডিআরইউ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আজ শুক্রবার সকালে সেগুনবাগিচায় অবস্থিত সংগঠনের গোলটেবিল মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি সাইফুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম ফারুক। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী। সংবর্ধনাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত তাবাসসুম মোস্তফা অথই এবং এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত আতিয়া ফাইরুজ চৌধুরী।

অতিথিরা কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা পত্র, ক্রেস্ট ও বৃত্তি হিসেবে নগদ অর্থ তুলে দেন।

ডিআরইউ আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ছবি : বাসস

২০১৮ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ২৩ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে এ বছর পুরস্কার প্রদান করে ডিআরইউ।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একটি মহল পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন পত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও উদ্বেগ ছড়ানোর অপচেষ্টা চালায়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের কঠোর পদক্ষেপে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হয়েছে।’

শিক্ষামন্ত্রী ডিআরইউ সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে যারা কৃতি শিক্ষার্থী হিসেবে সংবর্ধনা পেয়েছেন তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা এবং তারা জ্ঞানে-বিজ্ঞানে ও দক্ষতায় নিজেদের বিকশিত করে দেশের সেবায় কাজ করবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আধুনিক ও দক্ষ নাগরিক তৈরির পাশাপাশি আমরা ভাল মানুষ তৈরি করতে চাই।’

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘গত ৯ বছরে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-বিদ্যুৎ ও খাদ্য উৎপাদনসহ দেশে সর্বক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, এত অল্প সময়ে এ পরিবর্তন পৃথিবীর কোন দেশে হয়নি। বাংলাদেশ এখন সকল ক্ষেত্রে ভালর উদাহরণ।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের মান অনেক বাড়াতে হবে। তবে মান বাড়ছে না, একথা ঠিক নয়। এসডিজি-৪ এর লক্ষ্য হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা। মান বাড়ানো এখন সারা দুনিয়ার চ্যালেঞ্জ। আমরা সে কাজটাই করছি।’

শিক্ষামন্ত্রী আসন্ন জেএসসি পরীক্ষা নভেস্বরে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে এ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জাতির ভবিষ্যতের স্বার্থে সকলের সচেতনতা প্রয়োজন। নৈতিক মূল্যবোধের জাগরণের মাধ্যমে যেকোন ধরনের অনিয়ম থেকে অভিভাবক-শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে এবং এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’