খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলা চলবে কি না, শুনানি আজ

Looks like you've blocked notifications!
জিয়া চ্যারিটেবল মামলার কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছবি : মোহাম্মদ ইব্রাহিম

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলার আদালত কারাগার চত্বরে স্থাপনের পর আজ তৃতীয় দিনের মতো শুনানি হবে। এতে কারাগারে আটক খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলা চলতে পারে কি না, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেবেন তাঁর আইনজীবীরা। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির ব্যাপারেও শুনানি হবে।

আদালতের কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে বরাবরের মতো আজ বৃহস্পতিবারও সকাল থেকেই ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের কড়া তল্লাশির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সকাল পৌনে ১১টার দিকে ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আক্তারুজ্জামান এজলাসে প্রবেশ করেন। এর কিছু সময় পরেই সেখানে আসেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। সাংবাদিকরাও মোবাইল রেখে আদালতে প্রবেশ করেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা জিয়া ছাড়া অপর তিন আসামি হলেন—খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়।

গত ৪ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে মামলার কার্যক্রম খালেদা জিয়া যেখানে বন্দি আছেন, সেই কারাগার চত্বরে আদালত বসানোর তথ্য জানানো হয়। পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর মামলার কার্যক্রমে আইনজীবীরা না গেলেও খালেদা জিয়া হুইলচেয়ারে করে আদালতে আসেন।

সেদিন খালেদা জিয়া আদালতে ৩০ মিনিটের মতো ছিলেন। বিচারকের সামনে একটি হুইলচেয়ারে তিনি বসে থাকেন। এ সময় তাঁকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। তার হাত-পা এবং মাথা কাঁপছিল। তাঁর সঙ্গে এ সময় তাঁর গৃহকর্মী ফাতেমা ছিলেন।  ফাতেমার হাতে ছিল একটি ছোট ব্যাগ।

এ সময় খালেদা জিয়া আদালতকে বলেন, ‘জজ সাহেবের কাছে কোনো কথা বা নিবেদন করা যায় না। উনি তারিখ দিয়ে উঠে চলে যান। আমাদের কারো কথা শুনেন না। সরকারের হুকুমে এবং নির্দেশে তিনি সব কিছু পরিচালনা করছেন। আমার পায়ে ব্যথা। ডাক্তার আমাকে পা সব সময় উঁচু করে রাখতে বলেছেন। হাতেও প্রচণ্ড ব্যথা। আমাকে জোর করে এখানে আনা হয়েছে। আমি খুবই অসুস্থ। আমি ঘন ঘন কোনো হাজিরা দিতে পারব না। রায় তো লেখাই আছে। আমার হাত-পা প্যারালাইজড হয়ে যাচ্ছে। আপনাদের যা ইচ্ছা রায় দেন, যত খুশি সাজা দিয়ে দেন।’ 

গতকাল ছিল কারাগার চত্বরে বসানো আদালতে মামলার কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিন। দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রমে উপস্থিত হননি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বিশেষ এই আদালতের বিচারককে চিঠিতে জানিয়েছেন, তিনি আদালতে আর আসবেন না।