নৌপরিবহনমন্ত্রী বললেন

চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনালের কাজ এ বছরেই দৃশ্যমান

Looks like you've blocked notifications!
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি : এনটিভি

চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল নির্মাণের কাজ এ বছরের মধ্যে দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বন্দর সম্প্রসারণে নতুন বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণের টাকার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেনের কাছে ক্ষতিপূরণের টাকা বাবদ ৩৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, এই টার্মিনাল আমাদের বাড়াতে হবে। ইতিমধ্যে পতেঙ্গা টার্মিনালের কাজ শুরু করে দিয়েছি। বে টার্মিনালের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য আজকে ৩৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকার চেক আমরা দিয়ে গেলাম। এরপর আমরা লালদিয়া টার্মিনাল করব। অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়ে গেলে আমরা দ্রুততার সাথে বে টার্মিনালের কাজ শুরু করব। এই বছরের মধ্যে ফিজিক্যালি কার্যক্রম শুরু করতে পারব।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম এ লতিফ, সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বন্দর চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আজিজ, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহাবুল আলম বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আজিজ জানান, নতুন এ টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে বড় আকারের জাহাজ দিনে রাতে যেকোনো সময় ভেড়ানো যাবে। জাহাজ চলাচলের জন্য জোয়ারের প্রয়োজন হবে না। বে টার্মিনালে ১৪ মিটার গভীরতার ১৫টি জাহাজ ভিড়তে পারবে। বর্তমান বন্দর থেকে প্রায় ছয় গুণ বড় হবে বে টার্মিনাল। আর এ টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হলে পাঁচ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ পর্যন্ত টিইউস হ্যান্ডলিং করার সক্ষমতা তৈরি হবে।