সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ বাড়ল

Looks like you've blocked notifications!

ভোটার বাড়ায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও ভোট কক্ষের সংখ্যা বেড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে তাদের চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ও ভোট কক্ষের যে তালিকা ইসিতে পাঠিয়েছে তাতে দেখা যায়, ভোটকেন্দ্র বেড়েছে দুই হাজার ৪৯২টি আর ভোট কক্ষ ১৭ হাজার ৪৬২টি।

আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের নিজ কার্যালয়ে ইসির উপসচিব আব্দুল হালিম খান এনটিভি অনলাইনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

আব্দুল হালিম খান বলেন, ভোটার বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার ভোটকেন্দ্র ও ভোট কক্ষের সংখ্যা বেড়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয় তাদের চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ও ভোট কক্ষের তালিকা পাঠিয়েছে ইসিতে। তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪০ হাজার ১৯৯টি এবং ভোট কক্ষ দুই লাখ ছয় হাজার ৫৪০টি।

ইসির উপসচিব আরো বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭টি। এবার দুই হাজার ৪৯২টি ভোটকেন্দ্র বেড়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ১৯৯টি। দশমে মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ১৭ হাজার ৪৬২টি ভোট কক্ষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ছয় হাজার ৫৪০টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোট কক্ষের সংখ্যা ৯৭ হাজার ৮৫৯টি এবং নারী ভোট কক্ষ এক লাখ আট হাজার ৬৮১টি।

এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৫ আগস্ট সারা দেশে ভোটকেন্দ্র ও ভোট কক্ষের খসড়া তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। খসড়া তালিকা অনুযায়ী ভোটকেন্দ্র ছিল ৪০ হাজার ৬৫৭টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ছিল দুই লাখ সাত হাজার ৪১৬টি।

খসড়া তালিকার সঙ্গে আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে পাঠানো তালিকার তুলনা করলে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা কমেছে এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা বেড়েছে। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা কমেছে ৪৫৮টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা বেড়েছে ৮৭৬টি।

ইসির উপসচিব আব্দুল হালিম খান বলেন, আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে পাঠানো এসব ভোটকেন্দ্র ও ভোট কক্ষের সংখ্যাও পরিবর্তন হতে পারে। তফসিল ঘোষণার পর কোনো ভোটকেন্দ্র কোনো প্রার্থীর বাড়ির কাছে অথবা প্রভাব বলয়ের মধ্যে পড়েছে বলে কোনো প্রার্থীর কাছে প্রতীয়মান হলে তিনি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা তদন্ত করে অভিযোগের যথার্থতা নিশ্চিত করে প্রতিবেদন দাখিল করলে নির্বাচন কমিশন তা পরিবর্তন করে দিতে পারে।

উপসচিব আরো বলেন, অঞ্চলিক কার্যালয়গুলো ভোটকেন্দ্র ও ভোট কক্ষের সংখ্যা চূড়ান্ত করে আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। এরপরে যখন কমিশন গেজেট করতে চাইবে তখন আমরা এই তালিকা কমিশনে পাঠাব। সব শেষে যাচাই-বাছাই করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২৫ দিন আগে চূড়ান্ত তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করবে কমিশন।