ভৈরবে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান খানকে (৫৫) গুলি করে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়নের সাদেকপুর হিন্দুপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আবদুল মান্নান খান বর্তমানে বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বজনরা।
জানা যায়, ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান খান ভৈরব পৌর শহরের গাছতলাঘাট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। আজ সকালে ইউপির মাসিক সভায় যোগ দিতে তিনি সাদেকপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। বেলা ১১টার দিকে সাদেকপুর গ্রামের হিন্দুপাড়া এলাকার সুকুমারের বাড়ির কাছে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
বাম বাহুতে গুলিবিদ্ধ আবদুল মান্নান এ সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
সাদেকপুর ইউপির চেয়ারম্যান সরকার শেফায়েত উল্লাহ জানান, আজ ইউপির মাসিক সভায় অংশ নিতে ইউনিয়ন পরিষদে আসার সময় দিনের বেলা প্রকাশ্যে দুর্বৃত্তরা তাঁকে গুলি করে আহত করে। কে বা কারা তাঁকে গুলি করেছে আহত মান্নান সুস্থ হলেই জানা যাবে। তবে তিনি অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমাদের প্রতিপক্ষরাই তাঁকে হত্যা করতে এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।’
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাদেকপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার শেফায়েত উল্লাহ ও সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. তোফাজ্জুল হকের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধে এই পর্যন্ত পাঁচটি হত্যাকাণ্ডসহ কয়েকশ লোক আহত হয়েছেন। শত শত বাড়ি-ঘরে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। উভয়পক্ষের মামলায় আসামি হয়ে ভিটে-মাটি হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ।