বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত : সাত আসামি গ্রেপ্তার
বিশ্বকাপ ফুটবলের দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্রাজিল বনাম মেক্সিকো দলের খেলা দেখা নিয়ে নেত্রকোনার মদনে হামলায় এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলায় সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল রোববার নেত্রকোনা সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) প্রীতেশ তালুকদার জানান, সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল ও ময়মনসিংহ জেলা সদরের বিভিন্ন জায়গায় শনিবার টানা ২২ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মদন থানার সাইদুর রহমান খান (৬৫) হত্যা মামলার পলাতক আসামি আকাব্বর আলী, রেনু মিয়া, মো. হান্নান, আবদুল মান্নান, আমাতুল্লা, নজরুলসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের নেত্রকোনা সিআইডি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে গতকাল আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৩ জুলাই রাতে মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের সিংহের বাজারের একটি দোকানে বসে এলাকার লোকজন ব্রাজিল বনাম মেক্সিকো দলের খেলা দেখছিল। মেক্সিকোকে দুটি গোল দেওয়ার পর ব্রাজিল সমর্থক মতিউর রহমান হিমেল (২৫) উল্লাস প্রকাশ করার সময় তার পা লেগে যায় রাজতলা গ্রামের সাইদুর রহমান খানের ছেলে মানু খানের (২৬) পায়ে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এরই জের ধরে পরদিন সকালে দুই দল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত সাইদুর রহমান খান (৬৫), হাতেম ভূঁইয়া (৫০) ও রাজীব ভূঁইয়াকে (৪৫) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
আরো জানা যায়, আহত সাইদুর রহমান খানের অবস্থার অবনতি ঘটলে সেদিনই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান তিনি।
পরে ৫ জুলাই নিহত সাইদুর রহমান খানের ছেলে মানু খান বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মদন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত চলার সময় আসামিরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
পরে মামলার কার্যক্রম নেত্রকোনা সিআইডির ওপর ন্যস্ত করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই প্রীতেশ তালুকদারের নেতৃত্বে একটি দল কিশোরগঞ্জের তাড়াইল ও ময়মনসিংহ থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।