‘শিগগিরই গ্রেপ্তার হবে নদীর সাবেক স্বামী’
সাংবাদিক সুবর্ণা আক্তার নদী হত্যা মামলার আসামি নদীর সাবেক স্বামী রাজিবুল ইসলাম রাজীব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছে র্যাব। খুব তাড়াতাড়ি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে তাঁরা জানান।
আজ রোববার দুপুরে পাবনা র্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পাবনা র্যাব ১২-এর ক্যাম্প কমান্ডার রুহুল আমিন।
গতকাল শনিবার এই মামলার তিন নম্বর আসামি মিলনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে আজ তাঁকে পাবনায় নিয়ে গেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এদিকে হত্যার ১৩ দিন পরও রাজীব গ্রেপ্তার না হওয়ায় হতাশ নদীর পরিবার।
নদীর মা মর্জিনা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা চাই রাজীবের গ্রেপ্তার। মিলন ও রাজীব সব সময় এক সঙ্গে থাকত। মিলন ধরা পড়লেও রাজীব ধরা পড়ল না। এটা কেমন কথা।’
মর্জিনা আরো বলেন, ‘মৃত্যুর আগে নদী হত্যাকারীদের নাম বলে গেছে। নদীর সাবেক স্বামী রাজিবুল ইসলাম রাজীব ও তাঁর সহকারী মিলনসহ চার-পাঁচজন মোটরসাইকেল থেকে তাঁর ওপর হামলা চালায় এবং চাপাতি দিয়ে কোপায়। মিলনকে রিমান্ডে নিলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।’
এ ব্যাপারে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘পুলিশের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। মিলন ধরা পড়েছে। এখন রাজীবও ধরা পড়বে।’ তিনি জানান, র্যাব মিলনকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা মাত্রই তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তিনি বলেন, ‘রাজীব যাতে দেশের বাইরে পালাতে না পারে সেজন্য রেড এলার্ট জারি করে প্রত্যেক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশকে রাজীবের ছবি পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগির তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’
আনন্দ টিভির পাবনা জেলা প্রতিনিধি এবং জাগ্রত বাংলা অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক ও প্রকাশক সাংবাদিক সুবর্ণা আক্তার নদী গত ২৮ আগস্ট বাসায় ফেরার সময় বাসার গেটের সামনে সশস্ত্র হামলার শিকার হন। রাত ১টা ৪০ মিনিটে তিনি হাসপাতালে মারা যান।
ঘটনার পরের দিন নিহত নদীর মা বাদী হয়ে নদীর সাবেক স্বামী রাজীব, শ্বশুর ইড্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) ও শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হোসেন এবং তাঁর সহকারী মো. সামসুজ্জামান মিলনসহ অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করে পাবনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।