কেন্দুয়ায় নিখোঁজ স্কুলছাত্রের বস্তাবন্দি লাশ মিলল পুকুরে!
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় জনি মিয়া (১১) নামের এক স্কুলছাত্রের লাশ বস্তাবন্দি অবস্থায় গ্রামের পুকুরে পাওয়া গেছে। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত শিশু জনি মিয়া কেন্দুয়ার মোজাফরপুর ইউনিয়নের গগডা আটকান্দিয়া গ্রামের ছোবান মিয়ার ছেলে। সে গগডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় গগডা আটকান্দিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে মায়ের সঙ্গে খাবার খায় শিশু জনি। পরে সে খেলাধুলার কথা বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। দিনশেষে জনি বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে শুরু করে। কিন্তু জনিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরের দিন শনিবারও চলে খোঁজাখুঁজি। নিখোঁজ জনির সন্ধানে এলাকায় মাইকে প্রচারও করা হয়। তবু তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে প্রিয় সন্তান জনিকে না পেয়ে তার বাবা-মা বারবারই মূর্চ্ছা যাচ্ছিলেন।
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে একই গ্রামের আবদুল বারেকের পুকুরে বস্তাবন্দি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে নেত্রকোনার সহকারী পুলিশ সুপার (কেন্দুয়া সার্কেল) মাহমুদুল হাসান, কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী, পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন চন্দ্র সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি ইমারত হোসেন গাজী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুকুরে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটির লাশ পাওয়া যাওয়ার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।