প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে সঠিক তথ্য যৌন হয়রানি কমাবে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ে সঠিক তথ্য যৌন হয়রানি ও জেন্ডার বৈষম্য কমাতে সাহায্য করবে। তিনি আরো বলেন, সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে। তবে এ ক্ষেত্রে মসজিদের ইমামদের সহযোগিতা প্রয়োজন। তাহলে মানুষ এই বিষয়টিকে আর গোপনীয় বা লজ্জার বলে মনে করবে না। সুস্থ জীবনের জন্য এ বিষয়ে জানা দরকার।
আজ রোববার ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক মেলার উদ্বোধনী অধিবেশনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার’ বিষয়ক প্লাটফরম ‘শেয়ার-নেট বাংলাদেশ’ রাজধানীর গুলশানে স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে এ মেলার আয়োজন করেছে।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ইয়েরুন স্তেইখস। আরো উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জেমস পি গ্রান্ট পাবলিক থেলথের অধ্যাপক সাবিনা ফাইজ রশিদ, রেডঅরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনসের সিনিয়র জেন্ডার স্প্যাশালিস্ট এলা দি ভুদ, রেডঅরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্ণব চক্রবর্তী।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে কথা বলা বিশেষ করে স্কুলে ও পরিবারে প্রায় নিষিদ্ধ বলা যায়। স্কুলের পাঠ্য বইয়েও সযত্নে এই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার। কারণ, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার হলো মানবাধিকার। ২০২০-২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকারের বিষয়টি সরাসরি যুক্ত। সমাজে ও অর্থনীতিতেও এর প্রভাব রয়েছে। তাই যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা পরিবার-পরিকল্পনা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারব।’
নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ইয়েরুন স্তেইখস বলেন, ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার নিয়ে কথা বলা খুবই জরুরি। আর এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়ার কাজটা করে আসছে শেয়ার-নেট বাংলাদেশ। এই প্লাটফরমের মাধ্যমে নীতিনির্ধারক, প্র্যাকটিশনার, গবেষক, ডাক্তারসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এক ছাদের নিচে এসে এ বিষয়ে কথা বলতে পারছে।’
এলা দি ভুদ বলেন, ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে সবার জানা দরকার। কারণ, এটি একটি সমাজকে সমতার সঙ্গে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। সঠিক জ্ঞান ও তথ্য নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমাতে সাহায্য করে। শেয়ার-নেট বাংলাদেশ এমন একটি প্লাটফর্ম যা বাংলাদেশের সব পর্যায়ের মানুষের কাছে সঠিক জ্ঞান ও তথ্য জানাতে এবং তাদের কথাগুলো বলার সুযোগ করে দিয়েছে।’
অর্ণব চক্রবর্তী বলেন, এই নলেজ ফেয়ারটি ছিল এমন একটি বিশাল প্লাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন সদস্য সংগঠনের এবং শেয়ার-নেট নেদারল্যান্ডস, বুরুন্ডি এবং জর্ডানের প্রতনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও মতবিনিময় সেশনের মাধ্যমে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল এবং তা থেকে শিক্ষণীয় বিষয় বস্তু বিভিন্ন নীতিনির্ধারণের প্রভাব এবং উদ্ভাবনী কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়।