সাংবাদিক সুবর্ণা নদী হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
আনন্দ টেলিভিশনের পাবনা জেলা প্রতিনিধি এবং জাগ্রত বাংলা অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক সুবর্ণা আক্তার নদী হত্যার তিন নম্বর আসামি শামসুজ্জামাল মিলনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গতকাল শনিবার রাতে ঢাকার আরমানিটোলায় নিজ আত্মীয়র বাসা থেকে মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ রোববার দুপুরে পাবনা র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
পাবনা র্যাব ১২-এর ক্যাম্প কমান্ডার রুহুল আমিন জানান, গত ২৮ আগস্ট বাসায় ফেরার সময় দুর্বৃত্তরা নদীর ওপর হামলা করে। রাত ১টা ৪০ মিনিটে তিনি হাসপাতালে মারা যান।
ঘটনার পরের দিন নিহত নদীর মা বাদী হয়ে নদীর সাবেক স্বামী মো. রাজীব হোসেন, শ্বশুর ইড্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) ও শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হোসেন এবং তাঁর সহকারী মো.সামসুজ্জামান মিলনসহ অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করে পাবনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৯৩।
পাবনা র্যাব ১২-এর ক্যাম্প কমান্ডার রুহুল আমিন জানান, মো. সামসুজ্জামান মিলন ২০০৩ সাল থেকে নদীর শ্বশুর আবুল হোসেনের প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী পদে চাকরি করেন।
মামলার দিনই আবুল হোসেনের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে সামসুজ্জামান মিলন নিজ বাড়িতে না গিয়ে পাবনা শহরের বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে থাকে। পরের দিন সকালে তিনি চাটমোহর এলাকায় যান। সেখান থেকে তিনি খুলনা এবং খুলনা থেকে বন্ধুর শ্বশুরবাড়ি মোংলায় যান।
সেখানে বেশ কয়েকদিন থাকার পর মিলন ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় তাঁর আত্মীয়র বাসায় গিয়ে থাকতে শুরু করেন। পরে গতকাল শনিবার রাতে তিনি গ্রেপ্তার হন।
রুহুল আমিন বলেন, ‘মামলার তিন নম্বর এজহারভুক্ত আসামিকে গতকাল রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় তাঁর এক নিকটাত্মীয়র বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে ওখান থেকে তাঁকে পাবনাতে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা ওইভাবে এক্সক্লুসিভ কোনো ক্লু পাইনি। এটা মূলত দেখছে পুলিশ। আমরা শুধু এজহার নামের আসামি হিসেবে সে যেহেতু তিন নম্বর আসামি সেই হিসেবে আমরা তাঁকে গ্রেপ্তার করলাম।’