আদালতকে বন্দি করা হয়েছে কারাগারে : রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সরকার আইনকানুনের কোনো ধার ধারছে না বলেই বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ থেকে কারাগারে আদালত স্থানান্তর করেছে। এর মাধ্যমে আদালতকে বন্দি করা হয়েছে কারাগারে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের নয়াপল্টন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখে গণতন্ত্রকেই বন্দি করে রাখা হয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্য দুটি, একের পর এক মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে সাজার স্তূপ বৃদ্ধি করা। আরেকটি হচ্ছে দিনের পর দিন আটকে রেখে শারীরিক অসুস্থতার আরো অবনতি ঘটিয়ে খালেদা জিয়াকে বিপর্যস্ত করা।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গতকাল হুইল চেয়ারে করে খালেদা জিয়াকে নিয়ে আসা হয়েছে আদালতে। হাত-পা নড়াতে তাঁর অসুবিধা হচ্ছিল। তিনি এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে হুইল চেয়ারে বসে রীতিমতো কাঁপছিলেন এবং চেয়ার থেকে দাঁড়াতে পারছিলেন না। বারবার দাবি করা সত্ত্বেও তাঁর সুচিকিৎসায় সরকার অবহেলা করেছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁর যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়নি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পরিত্যক্ত কারাগারে তাঁকে যে কক্ষটি দেওয়া হয়েছে, তা বাস করার জন্য অনুপযুক্ত। মেরামতহীন অপরিচ্ছন্ন জরাজীর্ণ কক্ষটি দেওয়া হয়েছে সরকারের ইচ্ছায়। খালেদা জিয়া যাতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিজ কক্ষে নির্বিঘ্নে বাস করতে না পারেন, তিনি যেন সারাক্ষণ কষ্ট পান, সে জন্যই এই ব্যবস্থা। সামগ্রিকভাবে আইন ও বিচারিক কার্যক্রমেই দেখা যায়, খালেদা জিয়ার ওপর জুলুমের প্রকাশ।’
সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে চায় না, কারণ এ ধরনের নির্বাচন হলে তাদের লজ্জাজনক পরাজয় হবে—এমনটা উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, একতরফা, ভোটারশূন্য নির্বাচন করার জন্য সারা দেশে বিরোধী দলশূন্য করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িছাড়া, পরিবারছাড়া পলাতক জীবন বেছে নিতে হয়েছে। প্রতিদিন রাতেই পোশাকধারী ও সাদা পোশাকধারীরা বিএনপি নেতাদের বাসা ও বাড়িতে হানা দিচ্ছে, তল্লাশির নামে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে করা হচ্ছে দুর্ব্যবহার, করা হচ্ছে গ্রেপ্তার।