খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির অনশন
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলের পক্ষ থেকে মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মমূচির ঘোষণা দেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী শনিবার ঢাকায় প্রেসক্লাবের সামনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন। একই সময়ে সারা দেশে জেলা ও মহানগর সদরে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হবে।
এ ছাড়া আগামী বুধবার ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চ/ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে প্রতীকী অনশন। সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ অনশন চলবে। একই সময়ে সারা দেশে জেলা ও মহানগর সদরে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো মামলায় জড়িয়ে দিয়ে নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে সাজা দিয়েও মনের ঝাল মিটছে না। নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে আবারও গোপন বিচার প্রক্রিয়ায় তাঁকে হয়রানি করতে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। খালেদা জিয়ার বিচারকাজ পরিচালিত হবে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে, যা আইনের পরিপন্থী ও স্বাধীন বিচার বিভাগের সার্বজনীন নীতিকে অমান্য করা। কারাগারে লোকচক্ষুর অন্তরালে আদালত ক্যাঙ্গারু কোর্টেরই দৃষ্টান্ত। এ সমস্ত আদালতে গায়েবি নির্দেশ আসে।’
রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ‘রাজধানীসহ সারা দেশেই চলছে মামলার ছড়াছড়ি, গ্রেপ্তার ও আসামি করার হিড়িক। এমনকি যেসব বিএনপি নেতারা দেশে নেই বা অনেকে হজ পালন করতে মক্কায় অবস্থান করছেন, তাঁদের নামেও মামলা দেওয়া হয়েছে। এতে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, সরকার বিরোধীদলের বিরুদ্ধে বিনা কারণে দমননীতির অংশ হিসেবে মামলা দায়ের করে এবং সে মামলায় গ্রেপ্তার করে। সরকার অজানা আশঙ্কায় বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে কারাগার ভরে ফেলেছে।’
‘বর্তমান অবৈধ সরকার বিদ্বেষ ও উগ্রতা দিয়ে মামলা-হামলা-গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিরোধীদলের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে ভোটারবিহীন বেআইনিভাবে ক্ষমতায় চিরকালীন থাকাটা নিশ্চিত করতে চাইছে,’, যোগ করেন রিজভী।