অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের তাগিদ স্পিকারের
অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। নির্বাচন কমিশনের অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আজ বুধবার ঢাকার র্যাডিসন হোটেলে দুই দিনব্যাপী সার্কভুক্ত আটটি দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের সংগঠন ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিজ অব সাউথ এশিয়ার (ফেমবোসা) নবম সম্মেলন উদ্বোধনকালে স্পিকার এসব কথা বলেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শক্তিশালী গণতন্ত্র চর্চায় আরপিও ও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন করতে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন দায়বদ্ধ। অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। নির্বাচন কমিশনের অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।
নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা নিঃসন্দেহে কঠিন উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ‘নির্বাচনে অংশীজনদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক দল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ভোটার, গণমাধ্যম, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনগণ কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন। নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে অংশীজনদের নির্বাচনে যুক্ত করতে হবে।’
সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নুরুল হুদা বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই সম্মেলন আমাদের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে উৎসাহী করবে।’
সম্মেলনে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ থেকে প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ থেকে ২০১০ সালে ফেমবোসার যাত্রা শুরু। পর্যায়ক্রমে ২০১১ সালে পাকিস্তান, ২০১২ সালে ভারত, ২০১৩ সালে ভুটান, ২০১৪ সালে নেপাল, ২০১৫ সালে শ্রীলংকা, ২০১৬ সালে মালদ্বীপ ও ২০১৭ সালে আফগানিস্তানে সংস্থাটির বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দেশের নামের বর্ণনাক্রমে ঘুরে এসে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে নবম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।