‘একটা পয়েন্টে ইয়াবা প্রতিরোধ সহজ, নাকি ১০০ জেলায়?’
দেশের সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডের ব্যর্থতার কারণেই দেশে মাদকের বিস্তার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। সীমান্ত এলাকা রক্ষা করা গেলে দেশে ইয়াবা ছড়াতে পারত না বলে দাবি করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের মুসলিম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত মাদকবিরোধী সমাবেশে এসব কথা বলেন সিএমপি কমিশনার। এ সমাবেশের আয়োজন করে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি।
মাদক দমন প্রসঙ্গে সিএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘আমি মনে করি, এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে অবশ্যই অবশ্যই পুলিশের একটা ভূমিকা আছে। কিন্তু তার চেয়ে বড় ভূমিকা যেটা কেউই আলোচনা করি না, সেটা হচ্ছে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে যারা আছে, তাদের ব্যর্থতার কথা আপনাদের কারো মুখ থেকে আসে না। কেউ চিন্তা করি না, মাত্র ১২০ কিলোমিটার বা ৫০ কিলোমিটার সীমান্ত যদি রক্ষা করতে না পারি, অথবা যদি রক্ষা করতে পারতাম, তাহলে এই ইয়াবা কি কোতোয়ালি থানায় (সিএমপির কোতোয়ালি থানা) আসতে পারত? প্রশ্নই ওঠে না। আমরা কি একবারেও বলেছি? এই দায়িত্বে যারা আছে, তাদের কারো নাম কি আমরা জানি? যারা ব্যর্থ তাদের নাম কি আমরা জানি? তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সমস্যা কোথায়? কারো মুখেই সে কথা আসে না। এ বিষয় কোনো মিডিয়াতেও আসে না। অথচ, সব দায়িত্ব হচ্ছে পুলিশের।’
সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ওই পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে পুলিশের কিছুই করণীয় নাই। আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, একটি পয়েন্ট দিয়ে ১০ লক্ষ ইয়াবা ঢুকে, এই একটি পয়েন্টকে সুরক্ষিত করা সহজ? নাকি এই ১০ লক্ষ ইয়াবা ১০০ জেলায় ছড়িয়ে পড়ার পরে ১০০ জায়গায় নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। কোনটা সহজ? একটি পয়েন্টে ১০ লাখ ইয়াবা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। অথচ, এই কাজটি করতে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। আমি সরকারের কাছে, আপনাদের কাছে আহ্বান জানাব, আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী যারা কাজ করেন, বিজিবি এবং কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করতে হবে। তাদের ওপর নির্দেশনা থাকতে হবে, তারা যেন তাদের দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করে।’
সমাবেশে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহামুদ হাসনি, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এমএ মালেক, উপকমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন বক্তব্য দেন।