নাটোরে ১৫ জন নিহতের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন
নাটোরের লালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহতের ঘটনায় জেলা প্রশাসক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে কমিটির প্রধান নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান এই তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রতিবেদনটিতে ওই সড়ক দুর্ঘটনার জন্য চ্যালেঞ্জার পরিবহনের মালিক, চালক, লেগুনার চালক ও দুটি যানবাহনের অতিরিক্ত গতিকে দায়ী করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে ১২ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন দাখিলের পর সার্কিট হাউজে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে প্রস্তাবনা তৈরির জন্য এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস শফিকুল ইসলাম শিমুল, আবুল কালাম আজাদসহ প্রশাসনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা ও পরিবহন খাতের নেতারা অংশ নেন।
গত ২৫ আগস্ট চ্যালেঞ্জার পরিবহনের একটি বাস কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। লালপুর উপজেলায় গেলে বাসটি পেছন থেকে যাত্রীবাহী একটি লেগুনাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশুসহ লেগুনার ১০ যাত্রী। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো তিনজন মারা যায়। এরপর নাটোর জেলা হাসপাতালে আরো দুজনের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর থেকেই চ্যালেঞ্জার পরিবহনের বাসচালক শামীম হোসেন গা-ঢাকা দেন। পরে গত মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে বগুড়া ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকীর হাতে তুলে দেন বগুড়া মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। তার একদিন আগে গ্রেপ্তার হন বাসচালকের সহকারী আব্দুস সামাদ কমল।