ধর্ষণের পর হত্যা, তৃতীয় রাতে লাশ ফেলা হয় নদীতে
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় লিমা আক্তার লিমু (১৭) হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. খোকনকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীনগর থানা পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীর মরকুন এলাকা থেকে খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বাড়ি সিরাজদিখান উপজেলার পাউসার গ্রামে। বিবাহিত দুই সন্তানের জনক খোকনের শ্রীনগরের বাড়ৈখালী চান সুপার মার্কেটে কাপড়ের দোকান আছে।
এর আগে ৩১ আগস্ট দুপুরে শ্রীনগরের বাড়ৈখালী গ্রামের ইছামতী মার্কেট সংলগ্ন ইছামতী নদীর তীরে লিমুর হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া খোকন আজ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই লিমুর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল খোকনের। এজন্য প্রায়ই খোকনের কাছ থেকে টাকা নিত লিমু। গত ২৮ আগস্ট সকালের দিকে লিমু দোকানে গিয়ে খোকনের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না থাকায় রাতে আসতে বলেন খোকন। লিমু রাতে তাঁর দোকানে গেলে খোকন ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে টাকা দিতে রাজি না হলে লিমু চিৎকার করতে থাকে। চিৎকার বন্ধ করতে খোকন মুখ চেপে ধরেন লিমুর। বেশ কিছুক্ষণ মুখ চেপে ধরার ফলে মৃত্যু হয় তার। এরপর দোকানে ব্যবহৃত কাপড়ের কাঠের বক্সের ভেতরে লিমুর মরদেহ বস্তাবন্দি করে রাখেন। দুদিন পর গন্ধ বের হতে থাকলে তৃতীয় দিন রাতে কোনো এক সময় বস্তাবন্দি মরদেহ নদীতে ফেলে দেন খোকন।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, লৌহজং ও শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মাকসুদা লিমা, শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুচ আলী, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর হোসেন প্রমুখ।