‘ইভিএমকাণ্ড’ দুই কারণে, মনে করেন বি চৌধুরী
শুধু ভোট চুরি নয়, ইভিএম বিতর্কের ঝড় তুলে দেশের অন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো থেকে মানুষের নজর সরানোও আরেকটা ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার বিষয়ে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বদরুদ্দোজা চৌধুরী এ কথা বলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে বিতর্ক জোরালো হচ্ছে। একদিকে, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো ইভিএমের বিরোধিতা করছে, অন্যদিকে এটাই আগামী নির্বাচনের জন্য গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি বলে জানাচ্ছে সরকারপক্ষ।
এ বিষয়ে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘ইভিএমটা দুই রকমের ষড়যন্ত্র। একটা হলো- ভোট চুরির ষড়যন্ত্র। আরেকটা হলো- মানুষের দৃষ্টি কেড়ে নিয়ে রাজনীতিকদের খালি ইভিএমের বিরুদ্ধে লড়ো। ভুলে যাও, বাকি যা কিছু ছিল। যেসব অত্যাচার, জুলুম, ছেলেদের ওপর করা হয়েছে, বাচ্চাদের ওপর করা হয়েছে, মেয়েদের ওপর করা হয়েছে, হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়েছে- এগুলো আর জনগণরে না বলো, ভুলে যাও। ইভিএম, ইভিএম।’
এ সময় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এবং ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করলে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি আশাবাদ জানান।
আলোচনা সভায় কথা বলেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি দেশের তরুণ সমাজকে আগামী নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানান।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘ফার্স্ট ওয়ান, ভোটটা করানো। না করলে তো দেশটার সংকট আরো গুরুতর হবে। আমি বলি যে, ভোটটা করানো আর ভোটটা পাহারা দেওয়া। সবাইকে সচেতন করা যে, আপনার ভোটের মূল্যটা বোঝেন।