বিমসটেকে বিদ্যুৎ নিয়ে সমঝোতা
কাঠমান্ডু ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হলো চতুর্থ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন। আজ শুক্রবার সম্মেলনের শেষ দিনে আঞ্চলিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন সম্পর্কিত একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে সংগঠনটির সদস্য রাষ্ট্রগুলো।
চুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সন্ত্রাসবাদ দমন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ বিষয়ে আরো দুটি চুক্তি।
পরে এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ কীভাবে লাভবান হবে, তার ব্যাখ্যা দেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক। তিনি বলেন, ‘আসলে দুটি চুক্তি সই হওয়ার কথা ছিল। ভুটান আপনারা জানেন যে, একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আছে। সুতরাং ভুটান এখন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বলে আমাদের কোঅপারেশন অন ক্রিমিনাল মেটারসে যেটা আমরা সবাই রাজি হয়েছি, ভুটানও রাজি হয়েছে। তারা ওয়েট করবে, অক্টোবরের পরে যখন নতুন সরকার আসবে, সবাই মিলে সই করবে। সুতরাং ওইটা ফাইনাল হয়ে আছে। আমরা ধরে নিতে পারি যে এটা হবে।’
‘আর এ ছাড়া যে গ্রিড কানেকশনসের ব্যাপারে একটা এমওইউ (সমঝোতা স্মরক) সাইন হবে। যেটা বেসিকলি একটা এনার্জি উৎপাদন, এনার্জি ডিস্ট্রিবিউশন, এনার্জির প্রাইজিং, এনার্জির রুলস অ্যান্ড প্রসেডিওর এগুলো নিয়ে আলাপ করবে। বেসিকালি ইলেকট্রিসিটি; বিশেষ করে হাইড্রো ইলেকট্রিসিটির বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে।’
পররাষ্ট্র সচিব আরো বলেন, ‘এতে আমাদের লাভ ছাড়া ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দুই নম্বর হলো যে, এই এফটিএ নেগোসিয়েশন এবং ইমপ্লিমেন্টেশনের মাধ্যমেই কিন্তু আমরা বড় যে দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ নেগোসিয়েশন করছি, তাতে অভিজ্ঞতা হিসেবে কাজ করবে। আপনারা জানেন, তিন-চারটা দেশের সঙ্গে নেগোসিয়েশন চলছে।’
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে এ সম্মেলনে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এ বিষয়ে এম শহীদুল হক বলেন, ‘যেহেতু বিমসটেকের আওতায় পলিটিক্যাল ইস্যু প্লাস অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে আলাপ করা যাবে না, বাই-লেটারাল অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে। সে জন্য আমরা এটা করিনি। তার মানে এই নয় যে, এটা সাইড লাইনে আলোচনায় আসেনি।’
সম্মেলনের শেষ দিনে আজ সকালে একান্তে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাত দেশের শীর্ষ নেতারা। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠকে বিমসটেকের ১৪টি খাত নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আর তারপরই শুরু হয় সমাপনী অধিবেশন। সেখানে আন্তঃআঞ্চলিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন সদস্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাত দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরাও। সমাপনী অধিবেশনে আজ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের হাতে বিমসটেক চেয়ারম্যানের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী।