‘মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ করছে ১০ এজেন্সির সিন্ডিকেট’
‘মালয়েশিয়ায় শ্রম বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে ১০ রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট। আর এই সিন্ডিকেটকে বায়রার আগামী নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তাঁরা এই নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টায় রয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বায়রার সাবেক সহ সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজের নেতৃত্বে সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট নেতারা।
তাঁরা জানান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) আসন্ন নির্বাচনকে পুনরায় এক তরফা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সম্পন্ন করতে নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত একটি মহল।
আগামী ৩ সেপ্টেম্বর এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বায়রার সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার, মনসুর আহমেদ কামাল, আবুল বারাকাত ভূঁইয়া, ফিরোজ আলম, আবুল বাশার, আবদুল আলিম, সিরাজ উদ্দিন ও আজাদ কবির প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা নির্বাচন নিয়ে নানা সংশয়ে প্রকাশ করেন। মালয়েশিয়ায় জি টু জি প্লাস পদ্ধতিতে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে শ্রমবাজার বন্ধে দায়ী সিন্ডিকেটটি এবারও নির্বাচনকে প্রভাবিত করে পদে টিকে থাকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও দাবি করেন তাঁরা।
নেতারা বলেন, ‘২০১৬ সালের ১৩ জুলাই দুই বছরের জন্য সদ্য বিলুপ্ত কমিটি নির্বাচিত হয়। এ কমিটির মেয়াদ ছিল চলতি বছরের ১২ জুলাই পর্যন্ত। মেয়াদ শেষের দিকে একই বছরের ২২ মার্চ বায়রার নির্বাচন বোর্ড নির্বাচনের জন্য ২৪ জুন নতুন তারিখ ঘোষণা করে। কিন্তু এর মধ্যে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ কমিটির মেয়াদ ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।’
নেতারা আরো বলেন, ‘একটি প্রভাবশালী চক্রের সহায়তায় ওই সিন্ডিকেট আগামী ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় বায়রা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনে যাতে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারি সেজন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার দখলকারী সিন্ডিকেট আমাদের হুমকি দিচ্ছেন। তাঁরা একক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে এ চেষ্টা চালাচ্ছেন।’
আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় বায়রার দ্বিবার্ষিক নির্বাচন বানচাল করারও চেষ্টা চালানো হচ্ছে এমন অভিযোগ বায়রার সদস্যদের কাছ থেকে পেয়েছেন দাবি করেন বায়রার সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার। তিনি বলেন, ‘বায়রার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গত মে মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু সিন্ডিকেটের নানা তৎপরতার কারণে সঠিক সময় নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন বানচালের অংশ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়।’
১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে সদ্য সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, সাবেক সহসভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজের নেতৃত্বে সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট। সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট-এর ব্যানারে সদ্য সাবেক বায়রার সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুকের নেতৃত্বে আরেকটি অংশও এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।