ইভিএম ব্যবহারের বিধান রেখে আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত ইসির
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য ইভিএম ব্যবহারের বিধান যুক্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। বৈঠক করে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনও দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদা সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
কে. এম. নুরুল হুদা বলেন, ‘আমরা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-৭২ এর পরে কিছুটা সংশোধনীমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ তৈরির জন্য এই সংশোধনী আনা হয়েছে। তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি হবে না সেই সিদ্ধান্ত এখনো ঠিক হয়নি।’
সিইসি বলেন, সংশোধনীগুলো অল্প কয়েক দিনের মধ্যে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। আইন মন্ত্রণালয় তাদের প্রক্রিয়া অনুসারে যদি আমাদের প্রস্তাবে সম্মত থাকে তাহলে প্রক্রিয়া অনুসারে যেভাবে সংশোধন করা প্রয়োজন সেভাবে করবে।
কে. এম. নুরুল হুদা বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করে ভালো ফল পেয়ে জাতীয় নির্বাচনে এই বিধান যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সংশোধন যদি আসে তখন আগামী জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে কি হবে না সেটা ভেবে দেখা যাবে। আইন আগে পাস হোক। সবার মতামত নেওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সিইসি বলেন, সংসদ নির্বাচনের সময় যদি প্রয়োজন হয় সেই মুহূর্তে যাতে ইভিএম ব্যবহার করতে পারি সে বিষয়ে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। নির্বাচনে ইভিএম যে ব্যবহার করবই এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে তখন দেখা যাবে ব্যবহার করব কি করব না।
ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বৈঠক ত্যাগ-সংক্রান্ত বিষয়ে সিইসি বলেন, ভিন্নমত থাকতেই পারে। উনি ভিন্নমত দিয়েছেন, অন্যরা ভিন্নমত দেননি। তারপরে আমরা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে সিইসির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।