‘মাহবুব তালুকদারের নাম বিএনপি দিয়েছিল’
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে নাম এসেছে। কমিশনার মাহবুব তালুকদারের নামটি বিএনপি দিয়েছিল।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের বৈঠক থেকে কমিশনার মাহবুব তালুকদারের ওয়াকআউট সম্পর্কে জানতে চাইলে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, ‘তবে কার নাম কোন রাজনৈতিক দল দিয়েছে এটা বড় কথা নয়। সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও দক্ষ। এরা তার নজির ইতিমধ্যেই রেখেছে।’
ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে চলমান বিতর্কের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘ইভিএম ব্যবহার সরকারের কোনো বিষয় নয়, এটি সম্পূর্ণই নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠান করবে সেটা একান্তই নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এ নিয়ে সরকারের করার কিছু নেই।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন দক্ষ ও নিরপেক্ষ। তারা যে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার সেটা মেনে নেবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে মতোবিরোধ হতেই পারে। তাদের মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত আসবে। সেটাই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদার সভাপতিত্বে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের চতুর্থ তলার সভাকক্ষে মুলতবি বৈঠক শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় মাহবুব তালুকদার বৈঠক বর্জন করে নিজ কক্ষে ফিরে আসেন।
আরপিও ১৯৭২ সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের মুলতবি সভা চলাকালে ইভিএম নিয়ে নিজের আপত্তির কথা জানিয়ে বৈঠক বর্জন করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা ঠিক হবে না।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান রেখে আরপিও সংশোধনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ আসনে ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে থাকার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটল। গত রোববার কমিশনের ৩৫তম সভায় আরপিও সংশোধন নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়। কিন্তু সেদিন কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা মুলতবি করে আজকের জন্য দিন রাখা হয়।