আদালতেই স্বজনদের দেওয়া খাবার খেলেন বাবর
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় দায়ের করা মামলার আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে অষ্টমদিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তাঁর আইনজীবী নজরুল ইসলাম।
আজ বুধবার রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দীনের আদালতে ওই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। দুপুরে এরই এক ফাঁকে স্বজনদের আনা খাবার খেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর।
দুপুর ১টায় যুক্তিতর্ক মুলতবি করে আগামী ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়। এ সময় আসামিরা আদালতের সামনে ডান পাশে চেয়ারে বসা ছিলেন। মামলার কাজ শেষে আদালত দ্বিতীয় তলার আদালত কক্ষে আসামিদের সঙ্গে স্বজনদের কথা বলার জন্য ১০ মিনিট সময় দেন।
এ সময় এক আসামি আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত, আমার একটা কথা আছে।’ আদালতের অনুমতি পেয়ে ওই আসামি বলেন, ‘আমার মা অনেক দূর থেকে এসেছেন দেখা করার জন্য। সময়টা একটু বাড়িয়ে দেন।’ এ সময় বিচারক আদালত কক্ষে দেখা করার জন্য আত্মীয় স্বজনদের ৩০ মিনিট সময় দেন। আসামিরা বিচারককে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় আসামি লুৎফুজ্জামান বাবর বাড়ি থেকে স্বজনদের দেওয়া খাবার খান। খাবারের মধ্যে ছিল পোলাও, গরুর মাংস, সবজি ও মুরগির রোস্ট। অন্য আসামিরাও স্বজনদের দেওয়া খাবার খান। বিচারকক্ষে বসেই দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করেন তাঁরা। এরপর পুলিশের প্রহরায় স্বজনদের সঙ্গে গল্প করেন।
বিচার চলাকালে আসামি ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীসহ অনেকে আদালত কক্ষে নফল নামাজ আদায় করতে থাকেন। এরপর জোহরের নামাজ পড়েন। পড়ে দুপুর ২টার দিকে লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় আওয়ামী মহিলা লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মী মারা যান।
এছাড়া আহত হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রয়াত সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ, আমির হোসেন আমু, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, সাহারা খাতুন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নজরুল ইসলাম বাবু, আওলাদ হোসেন, সাঈদ খোকন, মাহবুবা পারভীন, নাসিমা ফেরদৌস, রুমা ইসলামসহ শতাধিক নেতাকর্মী।