জুতায় ছিল ৯৬টি স্বর্ণের বার!
সাধারণ যাত্রীর মতোই রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ছিলেন ওই পাঁচজন। বেনাপোলগামী ঈগল পরিবহনের বাসটির অন্য যাত্রীদের চেয়ে তাঁদের হাঁটার ধরণ ও চাহনিতে ছিল ভিন্নতা। স্বাভাবিক ভাবে হাঁটার চেষ্টা করলেও তাঁদের পা বার বার অস্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছিল। আর এ অস্বাভাবিকতাই চোখে পড়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) সদস্যদের।
ওই পাঁচজনের জুতা পরীক্ষা করে মেলে ৯৬টি স্বর্ণের বার। র্যাব জানিয়েছে এসব স্বর্ণের দাম প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা।
আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, র্যাব ২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আনোয়ারুজ্জামান।
লে. কর্নেল আনোয়ারুজ্জামান জানান, র্যাবের কাছে তথ্য ছিল, স্বর্ণ পাচারকারী একটি চক্র মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বিপুল পরিমান স্বর্ণ ভারতে পাচারের উদ্দেশে গাবতলী থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাসে বেনাপোল রওয়ানা দেবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব ২ এর সদস্যরা সেখানে অবস্থান নেয় এবং পাচারকারী পাঁচযাত্রীকে সনাক্ত করে।
র্যাব জানায়, ওই পাঁচ ব্যক্তির পায়ে থাকা পাঁচ জোড়া জুতার ভেতর থেকে মোট ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। ১০ ভরি করে ৯৬টি বারে মোট ১২০ ভরি সোনার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।
আটককৃতরা হলেন, মো. রেজাউল (৩৫), মো. ওলিয়ার (৫০), মো. ওলিয়ার রহমান (৩০), মো. ওহিদুল ইসলাম (৩৪) এবং মো. বিল্লাল (৩৫)।
লে. কর্ণেল আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘এই চক্রটি ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করতো। তারা জানে না এর মুল হোতা কে। তারা বেনাপোল নেমে একটি ফোন নম্বরে ফোন করলে কেউ একজন এসে বারগুলো নিয়ে যেতো। এর বিনিময় তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা বহন ফি ও ২ হাজার টাকা যাতায়াত ভাতা দেওয়া হতো। তারা এভাবে প্রতি সপ্তাহে ২ বার করে বেনাপোল যেত।’
আটকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবারো অভিযান চালানো হবে বলেও জানান র্যাব ২ এর অধিনায়ক।