‘মৃত লোকের জবানবন্দি দিয়ে বিচার করা যায় না’
‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া মুফতি হান্নান তাঁর প্রথম স্বীকারোক্তিতে লুৎফুজ্জামান বাবরের সম্পৃত্ততা থাকার কথা বলেননি। কিন্তু দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিতে বাবর সাহেব জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেন। এটা জোরপূর্বক আদায় করা হয়েছে। তা ছাড়া মুফতি হান্নানের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাঁকে এ বিষয়ে জেরা করা সম্ভব হয়নি। সুতরাং একটি মৃত লোকের জবানবন্দি দিয়ে বিচার করা যায় না।’
আজ বুধবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে অষ্টম দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে আইনজীবী নজরুল ইসলাম আদালতে এসব কথা বলেন।
রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দীনের আদালতে অষ্টম দিনের মতো সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে বাবরের পক্ষে তা উপস্থাপন করেন আইনজীবী নজরুল ইসলাম।
পরে দুপুর ১টায় যুক্তিতর্ক মুলতবি করে আগামী ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়। এ সময় আসামিরা আদালতের সামনে ডান পাশে চেয়ারে বসা ছিলেন। অনেকের পায়ে ডাণ্ডাবেড়িও দেখা যায়।
‘প্রথম তদন্ত প্রতিবেদনে সম্পৃক্ততার তথ্য নেই’
যুক্তিতর্কের সময় আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যই লুৎফুজ্জামান বাবরকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ফজলুল কবির তাঁর তদন্ত প্রতিবেদনে বাবর সাহেবের জড়িত থাকার কোনো তথ্য দেননি। এ ঘটনায় তাঁর কোনো সম্পৃক্ততার কথাও উল্লেখ করেননি। তাঁকে (ফজলুল কবির) জেরা করার সময়ও তিনি স্বীকার করেছেন এ ঘটনায় বাবর সাহেবের কোনো সম্পৃত্ততা নেই। কিন্তু দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহহার চার্জশিট দেওয়ার পূর্বে লুৎফুজ্জামান বাবর সাহেবকে প্রস্তাব দেন আপনি যদি বিএনপির সিনিয়র কিছু নেতার নাম বলেন; তাহলে আপনাকে মামলায় জড়ানো হবে না। আপনি বেঁচে যাবেন। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন বিধায় তাঁকে তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। ’
আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া মুফতি হান্নান ও তাঁর প্রথম স্বীকারোক্তিতে লুৎফুজ্জামান বাবরের সম্পৃক্ততা থাকার কথা বলেননি। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে নেওয়া দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিতে বাবর সাহেব জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেন। এটা জোরপূর্বক আদায় করা হয়েছে। তাছাড়া মুফতি হান্নানের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাঁকে এ বিষয়ে জেরা করা সম্ভব হয়নি। সুতরাং একটি মৃত লোকের জবানবন্দি দিয়ে বিচার করা যায় না।’
‘প্রথম চার্জশিটে নাম ছিল না’
আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত, প্রথম চার্জশিটে ২৬ জন আসামি ছিল। সেখানে লুৎফুজ্জামান বাবরের নাম ছিল না। ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি সাদিক হাসান রুমির সাক্ষ্যের কোনো প্রমাণ নেই। তিনি শুনেছেন মর্মে সাক্ষ্য দিয়েছেন; শোনা সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। এ ছাড়া দুটি জায়গায় হওয়া ভবন ও আব্দুস সালাম পিন্টুর বাড়িতে বসে এ বিষয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে যে দাবি করা হয় তা প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে আমরা লুৎফুজ্জামান বাবরের বেকসুর খালাস দাবি করছি। এখানে ন্যায় বিচার পাব বলে বিশ্বাস করি। অন্যথায় আল্লাহ শেষ বিচারের দিনে সবাইর বিচার করবেন।’
বাবরের আইনজীবী নজরুল ইসলাম আদালতকে বলেন, ‘এ মামলায় বাবরের বিরুদ্ধে কোনো এভিডেন্স পাচ্ছি না রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনার চেষ্টা করেছেন সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। এসব অভিযোগ অগ্রহণযোগ্য। অন্যদের অপরাধ হাইজ্যাক করে বাবরের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে।’
নজরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘এ মামলাটি সর্বশেষ তদন্ত করেছেন আবদুল কাহার আকন্দ। তিনি পরিচ্ছন্ন হাতে তদন্ত করেননি। কারণ তিনি পরিচ্ছন্ন লোক নন। বিতর্কিত লোক। রাজনৈতিকভাবে একটি পক্ষের লোক। তাই রাজনৈতিকভাবে তাকে ও তার দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে বাবরকে আসামি করা হয়েছে। একটি রাজনৈতিক সরকারের সময়ে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। অথচ সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তার গ্রেপ্তারের পর ফজলুল কবির যে চার্জশিট দিয়েছিলেন সেখানে বাবরের নাম ছিল না।’
নজরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘আমি লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে বক্তব্য শেষ করছি। তবে উনার পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহান বক্তব্য দিবেন। আমার বক্তব্যে আমি চেষ্টা করেছি সবাইর প্রতি সম্মন দিয়ে বক্তব্য দিতে। বিজ্ঞ আদালত আমাকে সহযোগিতা করেছেন এ জন্য আদালতের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ জানাচ্ছি।’
‘স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায় এড়াতে পারেন না’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, ‘২১ আগস্টের মতো ঘটনার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বাবর। রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য দিয়ে অপরাধীদের পালাতে ও আড়াল করতে সহায়তা করেছেন। হাওয়া ভবন ধানমণ্ডির আবদুস সালাম পিন্টুর বাসভবনে তারেক রহমানসহ অন্যদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন। বর্বরোচিত এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনি দায় এড়াতে পারেন না। রাষ্ট্রপক্ষ এসব আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি খালাস পেতে পারেন না। আমরা তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করি।’
‘আইন অনুযায়ী বিচার করার জন্য বসেছি’
এ সময় বিচারক শাহেদ নুর উদ্দীন আদালত কক্ষে সবার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এ মামলার ১১২ কার্যদিবস শেষ হয়েছে। তন্মধ্যে ৮৭ কার্যদিবসে আসামিরা এবং ২৫ কার্যদিবসে রাষ্ট্রপক্ষ বক্তব্য উপস্থাপন করেছে। এ মামলার শুরু থেকেই অনেক চড়াই- উৎরাই শেষে এখন শেষ পর্যায়ে এসেছে। আমি চেষ্টা করেছি আইনানুযায়ী বিচারকার্য চালিয়ে নেওয়ার। এরপরও অনেক সময় রাষ্ট্রপক্ষ বা আসামিপক্ষের আবেদন আইনানুযায়ী না হলে রাখতে পারিনি। কারণ আমি আইন অনুযায়ী বিচার করার জন্য বসেছি। আইনের মাধ্যমে রাখতে চেষ্টা করেছি। এখানে আইনজীবী রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকউটর, মিডিয়ার সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ এবং কতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
এ সময় এক আসামি আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত আমার মা অনেক দূর থেকে দেখা করার জন্য এসেছেন। সময়টা একটু বাড়িয়ে দেন।’ এ সময় বিচারক আদালত কক্ষে দেখা করার জন্য আত্মীয় স্বজনদের ৩০ মিনিট সময় দেন। এ সময় আসামিরা বিচারকক্ষে স্বজনদের নেওয়া খাবার খান।
বিচার চলাকালে আসামি ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীসহ অনেকে আদালত কক্ষে নফল নামাজ আদায় করতে থাকেন। কেউ তসবিহ পাঠ করতে থাকেন। এরপর জোহরের নামাজ একসঙ্গে পড়েন। পড়ে দুপুর ২টার দিকে আসামিদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আসামি মোট ৫১ জন
এ ঘটনায় করা দুটি মামলার ৫১ আসামির মধ্যে জামিনে রয়েছেন আট জন। তাঁরা হচ্ছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম আরিফ, পুলিশের সাবেক তিন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (অব.) রুহুল আমিন, এএসপি (অব.) আবদুর রশিদ ও এএসপি (অব.) মুন্সি আতিকুর রহমান। প্রতি ধার্য তারিখেই তাঁরা আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন।
কারাগারে ২৫ জন
আসামিদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তখনকার মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম।
কারাগারে থাকা অন্য আসামিরা সবাই জঙ্গি সংগঠন হুজির সদস্য বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা হলেন, শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মো.আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ ওরফে জিএম, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর আবু হোমায়রা ওরফে পীর সাহেব, মাওলানা সাব্বির আহমেদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মুফতি আবদুল হান্নান মুন্সি ওরফে আবুল কালাম ওরফে আবদুল মান্নান,মহিব্বুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি, শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডাক্তার জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহমেদ তামিম, মাইন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মাইন ওরফে খাজা ওরফে আবু জানদাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, আরিফ হাসান ওরফে সুমন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ওরফে খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে শামিম ওরফে রাশেদ, মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া এবং আবু বকর সিদ্দিক ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার।
নিহত হয়েছিলেন ২৪ জন
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় আওয়ামী মহিলা লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মী মারা যান।
এ ছাড়া আহত হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রয়াত সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ, আমির হোসেন আমু, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, সাহারা খাতুন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নজরুল ইসলাম বাবু, আওলাদ হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, মাহবুবা পারভীন, নাসিমা ফেরদৌস, রুমা ইসলামসহ শতাধিক নেতাকর্মী।
এই গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মতিঝিল থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবদুর রশিদ হয়ে মুন্সি আতিকুর রহমানের কাছে যায়।
অভিযোগ উঠে, মুন্সি আতিক ও আবদুর রশিদ মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য জজ মিয়া নাটক সাজান। তাঁর কাছ থেকে মিথ্যা জবানবন্দি আদায় করা হয়। পরিবারকে প্রতি মাসে টাকা দেওয়ার কথাও বলা হয়। মাঝে এফবিআই ও ইন্টারপোল মামলার তদন্ত করে। ২০০৮ সালের ১১ জুন এ মামলার প্রথম অভিযোগপত্র দেন সিআইডির এএসপি ফজলুল কবীর। এতে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, মাওলানা তাজউদ্দিন, হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয় মুফতি হান্নান ছিলেন ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। তাঁদের লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করা। এ ছাড়া ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে সে সময়ের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের ভূমিকা ছিল বলেও বলা হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে ৩ আগস্ট মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য দায়িত্ব পান পুলিশের বিশেষ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ। পুনঃতদন্ত শেষে ২০১০ সালের ৩ জুলাই তিনি আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ওই অভিযোগপত্রে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব হারিছ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। মোট ৫২ জন আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান অপর মামলায় তাঁর ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় মামলা থেকে তাঁকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আসামির সংখ্যা ৫১ জন।
গ্রেনেড হামলার দায় স্বীকার করে ঢাকার সিএমএম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন আসামি। তাঁরা হলেন হুজি নেতা মুফতি হান্নান,মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি,শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর,আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল,জাহাঙ্গীর আলম,আরিফ হাসান সুমন ও রফিকুল ইসলাম সবুজ।