সরকারের তাসের ঘর ভেঙে যাবে : ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ আবার রাস্তায় নামবে এবং সরকারের তাসের ঘর ভেঙে যাবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য নয়, আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ। কারণ, জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না। এ কারণে যত রকমের দুষ্টুমি আছে, তা করছে সরকার।’
১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের আজ যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। যৌথ সভায় দলের অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে। এই সরকারের দুঃশাসন এবং অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনগণ আবার রাস্তায় নামবে। তখন সরকারের তাসের ঘর ভেঙে যাবে। বাংলাদেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়াবে। এই সরকারের পতন হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গণমাধ্যম, সুশীল সমাজের ভূমিকা রাখতে হবে।
এ সময় গণমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের। গতকাল আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। দু-একটি পত্রিকা ছাড়া কেউ আগ্রহ দেখায়নি। আমরা জানি, গণমাধ্যমকে পেছন থেকে আটকে দেওয়া হয়েছে। জনগণ এগুলো মনে রাখছে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘প্রতিদিনই কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। সময়মতো দেখতে পাবেন কেমন কর্মসূচি আসে।’ তিনি আরো বলেন, ‘অনেকেই বলে বিএনপি সংকটে রয়েছে, বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে। বিএনপি ধ্বংস হবে না। এ দেশের জনগণের স্বপ্নের স্পন্দন বিএনপি। এই দল ধ্বংস হবে না।’ ফখরুল আরো বলেন, বিএনপি অনেক প্রতিকূল অবস্থা পার করে আজ এ অবস্থানে এসেছে। কাজেই বিএনপিকে বাদ দিয়ে কোনো কিছু ভাবার সুযোগ নেই। আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে সেই নির্বাচন কোনোভাবেই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না।’
এর আগে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিএনপির কর্মসূচির বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। একই দিন বেলা ১১টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন দলের নেতাকর্মীরা। ওই দিন বিকেল ৩টায় জনসভার জন্য আবেদন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
রিজভী বলেন, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে জনসভা অনুষ্ঠানের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া ২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।