পল্লবীতে রিজার্ভ ট্যাংক বিস্ফোরণ, আরো দুজনের মৃত্যু
রাজধানীর পল্লবীতে পানির রিজার্ভ ট্যাংক বিস্ফোরণে ঘটনায় আরো দুজন মারা গেছেন। আজ সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে বউ-শাশুড়ির মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজন মারা গেলেন।
গত ২১ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ই ব্লকের ৪ নম্বর লেনে মোশারফ হোসেন নামের এক ব্যক্তির ছয়তলা বাড়ির নিচতলায় রিজার্ভ ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে নয়জন দগ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এরপর ২৫ আগস্ট বিকেলে মারা যায় আলেয়া বেগমের মেয়ে মিলি (৪)। মিলির শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। পরের দিন ২৬ আগস্ট সকালে বার্ন ইউনিটের আলেয়ার বাবা সুরত আলী (৬০) মারা যান। তাঁর শরীরের ৭২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মারা যান আলেয়া বেগম (৩০)। আলেয়ার শরীরের ৫৮ ভাগ দগ্ধ ছিল।
বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শঙ্কর পাল জানান, দগ্ধদের মধ্যে নিহত সুরত আলীর পুত্রবধূ লাবণী (১৮) আজ রাত পৌনে ৮টায় মারা যান। তাঁর শরীরের ৮৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। সুরত আলীর স্ত্রী বেদানা বেগম (৫০) মারা যান রাত সোয়া ১০টার দিকে। তাঁর শরীরের ১৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
লাবণী নিহত সুরত আলীর ছেলে রাব্বির (২১) স্ত্রী। রিজার্ভ ট্যাংক বিস্ফোরণে রাব্বি, তাঁদের বাড়ির মালিক মোশারফ হোসেন (৪৫), তাঁর ছেলে জিসান (১৮) ও আত্মীয় আউয়াল হোসেন বাবু আলমগীর (৩২) দগ্ধ হয়ে এখনো বার্ন ইউনিটে ভর্তি।
নিহত সুরত আলীর ছেলে স্কুলছাত্র মো. শাকিল জানায়, ঘটনার সময় ঈদের জন্য কাঁচাবাজার করতে সে বাজারে ছিল। বাজার থেকে বাসায় এসে সে দেখতে পায় পরিবারে ছয় সদস্যসহ মোট নয়জন দগ্ধ হয়েছে। পরে তাদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সুরত আলী পরিবার নিয়ে ওই বাসার নিচতলার ভাড়ায় থাকতেন। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শাকিল আরো জানায়, তার বড় ভাই রাব্বি ৭৮ শতাংশ ও বাড়ির মালিক মোশারফ হোসেন ৬০ শতাংশ পোড়া নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। বাকি দুজন আশঙ্কামুক্ত।