আজ জাতীয় কবির ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী

Looks like you've blocked notifications!

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের এদিনে মারা যান এই চিরবিদ্রোহী কবি। কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।

কাজী নজরুল ইসলাম প্রেমের কবি, বিরহ-বেদনা ও সাম্যের কবি। বাংলা সাহিত্য শুধু নয়, সংগীতেও সমানভাবে অবদান রেখেছেন নজরুল। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময়ে তাঁর লেখনী ভিত নড়িয়ে দেয় শাসকদের। ‘বিদ্রোহী’ কবিতা ছাড়াও তিনি ‘চল চল চল’ রণসংগীত রচনা করে তারুণ্যের প্রতীক হয়ে ওঠেন সে সময়। নারী-পুরুষের ভেদাভেদ ভুলে তিনি সাম্যের গান গেয়েছেন। রচনা করেছেন প্রেমের গান। কাজী নজরুল ইসলাম একাধারে ছিলেন কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বিচিত্র রাগ-রাগিণী সৃষ্টি করে বাংলা সংগীতকে করেছেন সমৃদ্ধ।

মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তাঁর লেখনী জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। নজরুলের কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলেছে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন। ১৯৭২ সালের ২৪ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে কবি সপরিবারে বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশ সরকার কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে এবং জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা দেয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশেই ছিলেন। তাঁর জীবনকাল ৭৮ বছর হলেও ১৯৪২ সালের জুলাই মাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর দীর্ঘ ৩৪ বছর তিনি অসহনীয় নির্বাক জীবন কাটিয়েছেন।

দিনটি উপলক্ষে নজরুল ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন সংগঠন ও দেশের গণমাধ্যমগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।