‘মোবাইলে কথা বলা নিয়ে’ সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১৭
‘ভুল নম্বরে কথা বলা নিয়ে’ সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে দুই গ্রামের লোকজনের সংঘর্ষে উপপরিদর্শকসহ (এসআই) অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুরে কামারখন্দ উপজেলার বাড়াকান্দি ও ধলেশ্বর গ্রামের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ধলেশ্বর গ্রামের পত্রিকা এজেন্ট সারোয়ার হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমান তার এক আত্মীয়ের কাছে ফোন করতে গেলে নম্বরের একটি সংখ্যা ভুল হয়ে সরকারি হাজি কোরপ আলী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকে মানবিক বিভাগে পড়ুয়া ছাত্রী ও বাড়াকান্দি গ্রামের মারুফার মোবাইলে ফোন চলে যায়। দুজনে কথা বলার একপর্যায়ে মারুফার কাকা মারুফার হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে হাফিজুরকে গালিগালাজ করেন। কথা বলার কয়েক দিন পর ধলেশ্বর গ্রামে রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদে মারুফার কাকা গেলে তাঁর সঙ্গে হাফিজুরের কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। বিষয়টি নিয়ে শনিবার বিকেলে বাড়াকান্দি গ্রামে স্থানীয় মাতবরদের উপস্থিতিতে এক সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেই সালিশি বৈঠকে বাড়াকান্দি গ্রামের লোকজন ধলেশ্বর গ্রামের লোকজনকে মারধর করে। এতে হাফিজুরসহ ধলেশ্বর গ্রামের তিনজন গুরুতর আহত হন। তাদের বর্তমানে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনার পর রোববার দুপুরে বাড়াকান্দি গ্রামের দিকে ধলেশ্বর গ্রামের লোকজন লাটিসোটা নিয়ে এগিয়ে যায়। বাড়াকান্দি গ্রামেরও লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে এগিয়ে যায়। এতে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় থানার এসআই আশফাকুর রহমানসহ উভয় পক্ষের ১৬/১৭ জন আহত হন। পরে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে।
কামারখন্দ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে এ পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।