কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি পারাপার বন্ধ
নাব্যতা সংকটের কারণে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটের সব ফেরি পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) জানিয়েছে আগামীকাল সোমবার ভোর ৫টা থেকে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল শুরু করবে।
কয়েকদিন ধরেই নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে। রাত থেকে ফেরি বন্ধের কারণে বিপাকে পড়েছেন হাজারো যাত্রী।
বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসিসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, পদ্মায় পানি কমাতে নাব্যতা সংকটে শনিবার রাতে আট ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রোববার সকাল ৭টা থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল শুরু হয়। ছয়-সাতটি ছোট ও মাঝারি ফেরি নদীর তলদেশ ঘেঁষে ধারণক্ষমতার হালকা যানবাহন নিয়ে কোনোমতে চলে। বন্ধ রয়েছে ‘রো রো’ ও ‘ডাম্ব ফেরি’। ফলে ঈদ শেষে কর্মস্থলমুখো যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়েছে কাঁঠালবাড়ী ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ঘাটে।
ফেরিতে অচলাবস্থা দেখা দেওয়ায় লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রীদের চাপ বেশি। কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। স্পিডবোট ও লঞ্চে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ভারি যানবাহনকে বিকল্প রুট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
রো রো ফেরি শাহ পরানের মাস্টার ইনচার্জ আব্দুল করিম বলেন, ‘লৌহজং টার্নিংসহ নদীর কয়েকটি পয়েন্টে পানি কমে নাব্যতা সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে আমাদের জাহাজের তলদেশ মাটির সাথে ঠেকে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও চরে আটকে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়।’
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাট ম্যানেজার আবদুস সালাম বলেন, ‘ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা সংকট নিরসনে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। আশা করি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।’