বাবা-মেয়ের পর চলে গেলেন আলেয়াও
রাজধানীর পল্লবীতে পানির রিজার্ভ ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। গত মঙ্গলবারের ওই বিস্ফোরণে নয়জন দগ্ধ হয়েছিলেন।
আজ রোববার সকালের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সুরত আলী (৬০) মারা যান। তাঁর শরীরের ৭২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এরপর আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মারা যান তাঁর মেয়ে আলেয়া বেগম (৩০)। আলেয়ার শরীরের ৫৮ ভাগ দগ্ধ ছিল।
এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে মারা যায় আলেয়া বেগমের মেয়ে মিলি (৪)। মিলির শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বাবুল মিয়া তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুর ১২ নম্বরের পল্লবী থানার ব্লক-ই এর লাইন-৪ এলাকার মোশারফ হোসেন নামের এক ব্যক্তির ছয়তলা বাড়ির নিচতলায় রিজার্ভ ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে নয়জন দগ্ধ হন। তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
সুরত আলী, আলেয়া বেগম ও মিলি ছাড়া অন্য দগ্ধরা হলেন সুরত আলীর স্ত্রী বেদানা বেগম (৫০), ছেলে রাব্বি (২১), রাব্বির স্ত্রী লাবণী (১৮), বাড়ির মালিক মোশারফ হোসেন (৪৫), তাঁর ছেলে জিসান (১৮) ও আত্মীয় আউয়াল হোসেন বাবু (আলমগীর) (৩২)।
নিহত সুরত আলীর ছেলে স্কুলছাত্র মো. শাকিল জানায়, ঘটনার সময় ঈদের জন্য কাঁচাবাজার করতে সে বাজারে ছিল। বাজার থেকে বাসায় এসে সে দেখতে পায় পরিবারে ছয় সদস্যসহ মোট নয়জন দগ্ধ হয়েছে। পরে তাদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
সুরত আলী পরিবার নিয়ে ওই বাসার নিচতলার ভাড়া থাকত। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শাকিল আরো জানায়, তার মা বেদেনা ১৭ শতাংশ, বড় ভাই রাব্বি ৭৮ শতাংশ, ভাবি লাবণী ৮৮ শতাংশ ও বাড়ির মালিক মোশারফ হোসেন ৬০ শতাংশ পোড়া নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। বাকি দুজন আশঙ্কামুক্ত।