বাস-লেগুনা সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪
নাটোরের লালপুর উপজেলায় বাস ও লেগুনার সংঘর্ষে সর্বশেষ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরো অন্তত ১৩ জন।
আজ শনিবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে উপজেলার কুষ্টিয়া-পাবনা সড়কের কদিমটিলায় একটি পেট্রল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) বিপ্লব বিজয় তালুকদার।
নিহতরা সবাই লেগুনা যাত্রী। নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় জানা গেছে। এঁরা হলেন- নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের রাজপা বেগম (৪৫) ও শেফালী বেগম (৪০), একই উপজেলার জামাইদীঘা গ্রামের লগেনা বেগম (৬০) ও আদুরি বিশ্বাস (৩৫) এবং পাবনার পাকশি উপজেলার আবদুস সোবাহান (৭৫)।
আহত বাস যাত্রীদের নাটোর সদর হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ।
নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে নাটোর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আহতদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহীনা খাতুন।
পুলিশ জানায়, চ্যালেঞ্জার পরিবহনের বাসটি কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় পেছন থেকে যাত্রীবাহী লেগুনাকে ধাক্কা দিলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশুসহ ১০ যাত্রী। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো তিনজন মারা যায়। এরপর নাটোর জেলা হাসপাতালে আরো একজনের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা গিয়ে হতাহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহগুলো বনপাড়া হাইওয়ে থানায় রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
দুটি তদন্ত কমিটি
এদিকে নাটোর জেলা প্রশাসন ও বগুড়া হাইওয়ে পুলিশের থানার পক্ষ থেকে এ ঘটনা তদন্তে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি বাস দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দেবে।
জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনা তদন্তে অতিরক্তি জেলা হাকিম (এডিএম) সাইদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অপরদিকে বগুড়া জেলা হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল্লাকে প্রধান করে তিন সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বগুড়া জেলা হাইওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান।