বাসার খাবার গেল না খালেদা জিয়ার কাছে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে নাজিম উদ্দীন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাত করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা।
আজ বুধবার বিকেলে তাঁরা কারাগারে প্রবেশ করেন। দেড় ঘণ্টা অবস্থানের পর তাঁরা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।
কিন্তু এ সময় খালেদা জিয়ার জন্য বাসা থেকে রান্না করে আনা খাবার কারাগারে নিতে দেননি কারা কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি দেখা করার জন্য ১৩ জনের একটি নামের তালিকা দেওয়া হলেও সবাইকে ভিতরে যেতে দেওয়া হয়নি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ার পর কারাগারে এটি খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় ঈদ। গত রোজার ঈদের সময়ও পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কারাগারে দেখা করেন।
আজ দুপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়রা কারাগারের সামনে আসেন। তাঁরা বাসা থেকে খালেদা জিয়ার জন্য রান্না করা খাবার নিয়ে আসেন।
দুপুর ২টায় কারাফটকে আসলেও বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন তাঁরা। তবে সবাইকে কারাগারে যেতে দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ। ভিতরে যেতে পারেন ছয়জন।
বিএনপির চেয়াপারসনের কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ভগ্নিপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, নানতি জাহিয়া রহমান, ভাই সাঈদ এস্কান্দরের স্ত্রী নাসরিন সাঈদ, তারেক রহমানের স্ত্রীর বোন শাহিনা খান কারাগারে প্রবেশ করতে পারেন। দেড় ঘণ্টা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সময় কাটান পরিবারের সদস্যরা।
কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া জানতে চেয়েছেন, বাকি আত্মীয়-স্বজনরা কোথায়? আমরা বললাম, ওরা ঢুকতে দেয়নি। তারপর ওরা রান্না করা খাবারগুলিও ঢুকতে দিল না।’
‘উনার (খালেদা জিয়ার) শারীরিক অবস্থা ভাল না। শরীরটা খারাপ উনার। উনি দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন’, যোগ করেন সেলিনা ইসলাম।
এর আগে দুপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের দিকে যান।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়ে আগেই আবেদন করেছিল বিএনপি। কিন্তু আজ অনুমতি মেলেনি সাক্ষাতের। কারা ফটকের কিছুটা আগেই নেতাদের আটকে দেওয়া হয়। বিএনপি নেতারা আবেদনের অনুলিপি দেখালেও সেখানে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ব্যাপারে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে আধাঘণ্টার মতো অবস্থান করেন এবং এ ধরনের আচরণের নিন্দা জানান।