কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদসহ ১০ জন কারামুক্ত
পাঁচ মামলায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মাদ রাশেদ খানসহ ১০ শিক্ষার্থী কারামুক্ত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁরা মুক্তি পান।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, গতকাল রাশেদসহ ২৭ শিক্ষার্থীর জামিন হওয়ার পর তাঁদের আইনজীবীরা জামিননামা (বেইলবন্ড) দাখিল দেন। সে বেইলবন্ডে বিচারক স্বাক্ষর করার পর আদালতের ডেসপ্যাচ (আদান-প্রদান) শাখার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আজ রাশেদসহ ১০ আসামি মুক্তি পেয়েছেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। তবে আজ কারাগার থেকে অনেক আসামি জামিনে মুক্তি পাবেন বলে অন্য শিক্ষার্থীদের মুক্তি পাওয়ার কিছু সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
জিআরও মাহমুদুল হাসান বলেন, মুক্তি পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন, মশিউর রহমান, তারিকুল ইসলাম, সাইদুর রহমান ও আতিকুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ সরদার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোহেল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন ও গাজীপুরের শিক্ষার্থী শাখাওয়াত হোসেন।
এর আগে গতকাল ঢাকার বিভিন্ন মহানগর হাকিম ২৭ শিক্ষার্থীর বিভিন্ন মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ১ জুলাই দুপুরে মিরপুর ১৪ নম্বরের ভাসানটেক বাজার এলাকার মজুমদার রোডের ১২ নম্বর বাসা থেকে রাশেদকে আটক করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে শাহবাগ থানায় করা আইসিটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলাটি দায়ের করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়।
মামলার নথিতে থেকে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন, যা প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রক্রিয়াধীন। এরপরও গত ২৭ জুন রাশেদ খান ‘কোটা সংস্কার চাই’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে ভিডিও লাইভে এসে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মানহানিকর বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য দেন।
আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) বাসায় ভাঙচুরের আরেক মামলায় রাশেদকে আরো পাঁচ দিন রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে গত ১৮ জুলাই রাশেদকে আদালতে হাজির করা হয়।