শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত
ভোরের আলো না ফুটতেই আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে নেমেছে ঈদে ঘরফেরা মানুষের ঢল। দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে নাব্য সংকট কিছুটা কাটিয়ে এখন একটি রো রো ফেরিসহ মোট ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। বৈরী আবহাওয়ায় সকাল থেকে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
ঘাট এলাকায় সকাল ৮টার দিকে সহস্রাধিক গাড়ি পারের অপেক্ষায় আছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পেলেও বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করে পাড়ি দিতে হচ্ছে। মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। বৈরী আবহাওয়ায় ভোর থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। একটি রো রো ফেরি চলছে। প্রচণ্ড স্রোত ও টেউয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফেরি চলাচল করতে পারছে না।
ঘাটের ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন আরো জানান, গতকাল সোমবার সকালে গাড়ির চাপ শুরু হয়। আজও তা বিদ্যমান। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের সংখ্যা বেশি। ওয়ানওয়ে হওয়ার কারণে চ্যানেলের মুখে গিয়ে ফেরিগুলো অপেক্ষা করে। সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ফেরি মোটরসাইকেল লোড করে ছেড়ে গেছে। ঘাট এলাকায় দুই পার্কিং ইয়ার্ডে দূরপাল্লার বাস ও প্রাইভেটকার সংকুলন না হয়ে রাস্তায় অবস্থান করছে পারাপারের জন্য। হাজারের ওপর যানবাহন আছে।
এদিকে, লঞ্চঘাটে যাত্রীদের চাপ আছে। তবে তা স্বাভাবিক। ঈদ উপলক্ষে রাত ৮টার পরিবর্তে রাত ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করবে। এ রুটে ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করে। তবে বর্তমানে একটি লঞ্চ চলছে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ লক্ষ করা গেছে লঞ্চ ঘাট এলাকায়। ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে একটি লঞ্চ নষ্ট। বাকি ৮৬টি লঞ্চের মাধ্যমে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই যাতায়াত করছেন। সারা বছর রাত ৮টা পর্যন্ত লঞ্চ চললেও ঈদ উপলক্ষে দুই ঘণ্টা সময় বাড়ানো হয়েছে।