মওদুদকে পুলিশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে : রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ‘গত পরশু থেকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে তাঁর নিজ গ্রামের বাড়িতে পুলিশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে, পুলিশ আজও অবরোধ তুলেনি।’
বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, ‘সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশেই মওদুদ আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার নওরতনপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুবদল ও ছাত্রদলের আট নেতাকর্মী মওদুদ আহমেদের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসার সময় পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
যদিও বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবের এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ গতকাল রোববার চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে মওদুদ আহমদকে কোনোভাবেই অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি। নোয়াখালী গিয়ে তিনি আবার তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, মর্মে নাটক সাজিয়েছেন। এবং বলছেন, যে পুলিশ তাঁকে নাকি অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে তাঁর বাড়ির আশপাশে কিন্তু কোনো পুলিশ নাই। পুলিশ যেখানে নাই, সেখানে পুলিশ কিভাবে অবরুদ্ধ করে রাখল? আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, সেখানে কোনো পুলিশ নাই।’
এ দিকে ঈদ উপলক্ষে মানুষের মনে কোনো আনন্দ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘ঈদ মানেই উৎসব, ঈদ মানেই আনন্দ। কিন্তু মানুষের মনে ঈদের কোনো আনন্দ নেই। দেশে যে ভয়াবহ দুঃশাসন ও স্বৈরশাসন চলছে এর যাতাকলে পিষ্ট হয়ে গোটা জাতি আজ আতঙ্কিত উৎকণ্ঠিত। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষ দিশেহারা।’
বিএনপির এই নেতা সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘জবাবদিহিতার দিন ঘনিয়ে আসছে। ঈশান কোণে কালো মেঘ দেখা দিয়েছে, যেকোনো মুহূর্তে কালবৈশাখির মত্ত ঝাপটায় বিনা ভোটের সরকার হুড়মুড় করে পড়ে যাবে।’
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘এ দুঃশাসনের অবসান ছাড়া দেশের মানুষের মুক্তি মিলবে না, মিলবে না স্বস্তি। শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে, সত্যিকারভাবে মানুষ তাঁর পছন্দ অনুযায়ী জনপ্রনিধি নির্বাচন করতে পারলেই কেবল মুক্তি মিলবে এ জাতির।’